বিমানের যাত্রাপথে শিশুদের অস্থির আচরণ একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক সময় অন্যান্য যাত্রীদের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে এক যাত্রী, বিমানে শিশুদের চিৎকার এবং অস্থিরতার কারণে নিজের আসন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে। জানা যায়, এক শিশু, যিনি ওই যাত্রীর ঠিক পেছনের আসনে বসেছিলেন, তিনি একটানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চিৎকার এবং অস্থির আচরণ করতে থাকেন। ওই যাত্রী জানান, শিশুটি তার সিটে লাথি মারছিল, এমনকি তার হেডফোনও ছুঁড়ে ফেলেছিল।
প্রথমে ওই যাত্রী শিশুদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানান এবং তাদের শান্ত করতে অনুরোধ করেন।
কিন্তু, এক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও যখন পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি, তখন তিনি বিমানের এক কর্মীর কাছে অন্য কোনো খালি আসন আছে কিনা জানতে চান। বিমান কর্মী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে ১০ সারি পেছনে একটি মাঝের আসন খুঁজে দেন।
যাত্রীটি যখন নতুন আসনে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি কিছু সহযাত্রী এবং শিশুর অভিভাবকদের কাছ থেকে বিরূপ মন্তব্য শুনতে পান। তারা ওই যাত্রীকে ‘অসংবেদনশীল’ এবং ‘অসভ্য’ বলে অভিহিত করেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, এর প্রতিক্রিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই ওই যাত্রীর সমর্থনে এগিয়ে আসেন।
তাদের মতে, শিশুদের অস্থিরতার কারণে অন্য যাত্রীদের অসুবিধা হওয়াটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আবার, কিছু মন্তব্যকারী, যারা নিজেরাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর অভিভাবক, তারা পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিমানে শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করাটা কঠিন হতে পারে, তবে অন্যদের প্রতি এমন আচরণ করা উচিত নয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ভ্রমণের সময় কিভাবে শিশুদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া যায়। তাদের মতে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত বিমান কর্মীদের সাহায্য নেওয়া উচিত।
কারণ, তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশি অবগত থাকেন এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারেন। এছাড়াও, যাত্রীদের ধৈর্য ধারণ করা এবং শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। একইসাথে, অভিভাবকদেরও তাদের সন্তানদের আচরণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে অন্য যাত্রীদের কোনো অসুবিধা না হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল