প্লাস্টিক বর্জন: থার্মোস আর কাঠের ব্রাশে কীভাবে বাঁচাবেন পরিবেশ?

প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর উপায়: সচেতনতা ও আমাদের করণীয়। আজকের দিনে প্লাস্টিক দূষণ এক গুরুতর সমস্যা হিসেবে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে।

এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো পরিবেশের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, প্লাস্টিকের কণা (Microplastics) আমাদের খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এখন সময়ের দাবি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি। বাজার থেকে আনা সবজি, ফল থেকে শুরু করে খাবার, পানীয় – প্রায় সবকিছুতেই প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করা হয়। একবার ব্যবহার করা এইসব প্লাস্টিক সামগ্রী পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

প্লাস্টিক সহজে পচে না, যা বছরের পর বছর ধরে পরিবেশে থেকে যায় এবং দূষণ ঘটায়। তাহলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে আমরা কি করতে পারি?

প্রথমেই, আমাদের সচেতন হতে হবে এবং প্লাস্টিকের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। বাজারে এখন কিছু জিনিসের সহজলভ্যতা বেড়েছে, যা প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যেমন, বাজার করার জন্য কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। তরকারির জন্য প্লাস্টিকের বাটির বদলে কাঁচের বাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবার গরম করার জন্য প্লাস্টিকের পাত্রের পরিবর্তে সিরামিক বা কাঁচের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

চা বা কফি বানানোর জন্য প্লাস্টিকের কাপ বা বোতলের পরিবর্তে থার্মোফ্লাস্ক বা স্টেইনলেস স্টিলের মগ ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে, বাজারে রিইউজেবল বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল পাওয়া যায়, যা প্লাস্টিকের বোতলের একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

এছাড়াও, আমাদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার সামগ্রীতেও পরিবর্তন আনা দরকার। টুথব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার – এইসব জিনিস কেনার সময় প্লাস্টিকমুক্ত বা রিফিল করার সুযোগ আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে।

টুথব্রাশের বদলে বাঁশের ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিক কমাতে খাদ্য নির্বাচনেও সচেতন হতে হবে।

প্যাকেটজাত খাবার, যেমন চিপস, বিস্কুট বা অন্যান্য স্ন্যাকস-এর পরিবর্তে তাজা ফল, সবজি এবং বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সরকারের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা চালানো উচিত। আসুন, সবাই মিলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *