ছেলের হাতেই রূপচর্চা! ৬৯ বছরেও কীভাবে তাক লাগালেন এই বৃদ্ধা?

শিরোনাম: ছেলের দেওয়া উপহার: প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন ৬৮ বছর বয়সী মা

ছেলে, যিনি পেশায় প্লাস্টিক সার্জন, মায়ের মুখের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অস্ত্রোপচার করেছেন। মা ও ছেলের গভীর সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে এখানে।

ঘটনাটি ঘটেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সী লিন্ডা ট্রুয়েসডেলের জীবনে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চেহারায় পরিবর্তন আসে, যা খুবই স্বাভাবিক। লিন্ডার ক্ষেত্রেও এমনটা হচ্ছিল।

তিনি তাঁর ছেলে, ডা. কার্ল ট্রুয়েসডেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ডা. কার্ল একজন অভিজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জন।

মা’কে অস্ত্রোপচার করানোর বিষয়টি প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি। কিন্তু লিন্ডার আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার আগ্রহ দেখে তিনি রাজি হন।

লিন্ডার দুটি অস্ত্রোপচার হয়। প্রথম দফায় তাঁর চোখের পাতা এবং ঠোঁটের কিছু অংশে পরিবর্তন আনা হয়।

এর কয়েক মাস পর, তাঁর মুখের চামড়া টানটান করার জন্য একটি গভীর-প্লেন ফেসলিফটিং সার্জারি করা হয়।

ডা. কার্ল জানান, সাধারণত এই ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা থেকে ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার সমান।

তবে মায়ের ক্ষেত্রে এই অস্ত্রোপচার ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, যা ছিল তাঁর প্রতি ছেলের ভালোবাসার এক অনন্য উপহার।

অস্ত্রোপচারের পর লিন্ডার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বহুগুণ। তিনি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুখী এবং প্রাণবন্ত।

লিন্ডার কথায়, “আয়নায় নিজেকে দেখে এখন ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমি একটি দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে এক নারী এসে আমার কাছে জানতে চান, আমার ত্বকের রহস্য কী! মানুষের ভালো লাগা দেখলে আমারও ভালো লাগে।”

ডা. কার্ল ট্রুয়েসডেলের মতে, মায়ের উপর অস্ত্রোপচার করাটা তাঁর জন্য অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিল।

অস্ত্রোপচারের সময় তিনি সবসময় মনে রাখতেন, যাঁর কাছ থেকে তিনি জীবন পেয়েছেন, সেই মা-কে তিনি সুন্দর করে তুলছেন। মা-ছেলের এই ভালোবাসার গল্প এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *