পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মধ্যপন্থী ও জাতীয়তাবাদী দুই প্রার্থী। আগামী ১লা জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম রাউন্ডের ভোটে কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
ওয়ারশ’র মেয়র, রাফাল ট্রাসকোভস্কি, যিনি মধ্যপন্থী সিভিক কোয়ালিশন (KO) দলের সমর্থন নিয়ে লড়ছেন, তিনি পেয়েছেন ৩১.৩৬ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী দল ল’ অ্যান্ড জাস্টিস (PiS)-এর প্রার্থী ক্যারোল নাওরোকি পেয়েছেন ২৯.৫৪ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই দুই প্রার্থীই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ট্রাসকোভস্কি ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়ারশ’তে যান, আর নাওরোকি যান গডানস্কে।
ট্রাসকোভস্কি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে, যুক্তিই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি খুশি যে অনেক তরুণ ভোটার ভোট দিয়েছেন, তবে তাদের আমার পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রথম রাউন্ডে কট্টর-ডানপন্থী প্রার্থী স্লোমির মেনৎজেন এবং গ্রেগর্জ ব্রাউন সম্মিলিতভাবে ২১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন, যা একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। তরুণ ভোটারদের মধ্যে তাদের ভালো সমর্থন দেখা গেছে।
তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা কাদের সমর্থন করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
জাতীয়তাবাদী দল ল’ অ্যান্ড জাস্টিস (PiS)-এর সমর্থনপুষ্ট নাওরোকি বলেছেন, তিনি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ভোট চেয়ে লড়বেন। তিনি আরও বলেন, “আমার সামাজিক কর্মসূচি এবং ল’ অ্যান্ড জাস্টিস সরকারের সামাজিক অর্জনগুলো, সেইসাথে সলিডারিটি ট্রেড ইউনিয়নের প্রতি সমর্থন বামপন্থী এবং সামাজিক দিক থেকে সংবেদনশীল ভোটারদেরও আকৃষ্ট করবে।”
পোল্যান্ডের এই নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যেমন প্রভাব ফেলবে, তেমনি এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোর ওপরও এর একটি প্রভাব থাকবে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্ক কেমন হবে, তা এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন