যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের একটি ছোট শহর গেটওয়েতে (Gateway) আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেখানকার সাবেক পুলিশ প্রধান গ্র্যান্ট হার্ডিন, যিনি খুন এবং ধর্ষণের দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন, সম্প্রতি জেল থেকে পালিয়েছেন। এই ঘটনায় পুরনো ক্ষতগুলো যেন আবার জেগে উঠেছে, বিশেষ করে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।
হার্ডিন ২০১৭ সালে জেমস অ্যাপলটন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ৩০ বছরের কারাদণ্ড পান। এছাড়াও, ১৯৯৭ সালের দুটি ধর্ষণের ঘটনার জন্য তার আরও ৫০ বছরের কারাদণ্ড হয়। ঘটনার দিন তিনি উত্তর আরকানসাসের ক্যালিকো রক এলাকার একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। গেটওয়ে শহরটি ক্যালিকো রক থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
ছোট শহর গেটওয়ে, যেখানে সবাই সবাইকে চেনে, সেখানকার মেয়র চেরিল টিলম্যান জানিয়েছেন, হার্ডিনের পালানোর খবরে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। নিহত জেমস অ্যাপলটনের বোন চেরিল, যিনি বর্তমানে গেটওয়ের মেয়র, বলেছেন, “এই লোকটা খুবই ভয়ঙ্কর। সে যখন পুলিশ প্রধান ছিল, তখনো তার আচরণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন সে পালিয়ে যাওয়ায় আমাদের শহরের মানুষজন আতঙ্কে আছে।”
হার্ডিন ২০১৬ সালে গেটওয়ের পুলিশ প্রধান হিসেবে অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে তিনি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন, তবে প্রায়ই চাকরি থেকে বরখাস্ত হতেন অথবা তাকে পদত্যাগ করতে হতো। হার্ডিন প্রতিশোধ পরায়ণ ছিলেন এবং সহজে রেগে যেতেন বলে জানা যায়।
হার্ডিনের পালানোর পর থেকে শহরটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়রের পক্ষ থেকে শহরবাসীকে সতর্ক থাকার এবং কোনো সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
হার্ডিনের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। হার্ডিনের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, হার্ডিনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন