অরেঞ্জ কাউন্টির ‘রিয়েল হাউজওয়াইফ’ থেকে কীভাবে এলো ‘ডেলি বয়েজ’-এর ‘মব কুইন’-এর আইডিয়া?

শিরোনাম: হলিউডে সাফল্যের শিখরে: অভিনেত্রী পূর্ণা জগন্নাথনের গল্প

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র জগতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী পূর্ণা জগন্নাথন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের জগতে নিজের দক্ষতা আর ভিন্ন ধারার কাজের মাধ্যমে তিনি জয় করেছেন দর্শক হৃদয়।

সম্প্রতি, ‘ডেলী বয়েজ’ নামক সিরিজে ‘লাকি’ চরিত্রে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই চরিত্রে অভিনয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন অপ্রত্যাশিত এক উৎস – ‘দ্য রিয়েল হাউজওয়াইভস অফ অরেঞ্জ কাউন্টি’ নামক একটি জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন শো।

পূর্ণা জানান, সাধারণত তিনি চরিত্র বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতেন। কিন্তু ‘লাকি’র মতো শক্তিশালী, কিছুটা অস্থির, এবং একই সঙ্গে স্নেহময়ী একজন নারীর চরিত্র খুঁজে বের করতে গিয়ে তিনি যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।

অবশেষে, অপ্রত্যাশিতভাবে এই চরিত্রটির জন্য তিনি inspiration খুঁজে পান একটি বাস্তবতাবাদী টেলিভিশন অনুষ্ঠানে।

মাত্র সাত বছর বয়সে অভিনেত্রী সুহাসিনী হাসানের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত পূর্ণার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। সুহাসিনীর অভিনয় দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, সেই সময়েই তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন।

পরবর্তীতে, কাস্টিং ডিরেক্টর অ্যাভি কফম্যানের হাত ধরে তিনি প্রথম সারির চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান।

পূর্ণা জগন্নাথনের অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় HBO-এর জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য নাইট অফ’। এই সিরিজে তিনি সাফাক খানের চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে অভিনেতা হিসেবে নতুন পরিচয় এনে দেয়।

তিনি মনে করেন, এই সিরিজের মাধ্যমেই তিনি এমন চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পান যেখানে চরিত্রটিকে শুধুমাত্র একটি ‘ছোট অংশ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি, বরং একজন স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘নেভার হ্যাভ আই এভার’-এ দেবী’র মা নালিনী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এই সিরিজে তিনি Mindy Kaling-এর সাথে কাজ করেছেন।

Mindy Kaling-এর কাজের প্রতি পূর্ণা মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, Mindy Kaling তার কাজের মাধ্যমে নিজের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন, যা তাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে।

অভিনয়ের পাশাপাশি, পূর্ণা জগন্নাথন নারীদের উপর যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে নির্মিত ‘নির্ভয়া’ নাটকের সহ-প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। এই নাটকটি তৈরি করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের কিছু কঠিন অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি মনে করেন, জীবনের ভালো-মন্দ সকল অভিজ্ঞতাকে স্বীকার করে নেওয়াই একজন মানুষকে পূর্ণতা দেয়।

বর্তমানে, পূর্ণা তার নতুন সুপারহিরো চরিত্র ‘ল্যান্টার্নস’-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, এই ধরনের চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা তার কাছে কল্পনার অতীত ছিল।

অভিনয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন শিল্পী হিসেবে তার দক্ষতা কত বিস্তৃত।

পূর্ণা জগন্নাথন মনে করেন, হলিউডে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। দক্ষিণ এশীয় এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অভিনেতাদের জন্য এখন আরও বেশি সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং তাদের চরিত্রগুলোও আগের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *