মৃত্যুর কাছাকাছি: শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত পোপকে বাঁচাতে কী করেছিলেন চিকিৎসকেরা?

পোপ ফ্রান্সিসের গুরুতর অসুস্থতা, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসা বন্ধের চিন্তাভাবনা।

বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তার চিকিৎসার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।

ইতালির একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৮৮ বছর বয়সী পোপের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তবে পরে তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যান।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পোপের ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, যার কারণে তার চিকিৎসা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকি বমি করার কারণে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ে।

অবস্থা এমন হয়েছিল যে, তাঁর শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সে সময় চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন, চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত, নাকি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

শেষ পর্যন্ত তাঁরা সব ধরনের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

চিকিৎসারত অবস্থায় পোপের কিডনি এবং অস্থিমজ্জার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা হাল ছাড়েননি।

তাঁরা জানান, পোপের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করে। প্রায় আটচল্লিশ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর সম্প্রতি তিনি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

তবে চিকিৎসকরা তাঁকে আপাতত দু’মাস বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

হাসপাতাল থেকে ফেরার পর পোপকে দুর্বল দেখাচ্ছিল। আগামী মাসে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

তাছাড়াও ইস্টার সানডে সহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি সেই সব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

পোপের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, সংকটজনক মুহূর্তেও পোপ সম্পূর্ণ সজাগ ছিলেন। তিনি চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোর দেন।

চিকিৎসকরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে তাঁর জন্য প্রার্থনা করা হয়েছিল, যা তাঁকে সুস্থ করে তুলতে সহায়ক হয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *