পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া, ভ্যাটিকানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মগুরু, পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্ব। সোমবার, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মরদেহ বর্তমানে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় রাখা হয়েছে, যেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল, হাজার হাজার শোকাহত মানুষ পোপকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানে সমবেত হন। সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিস্তৃত ছিল।
প্রতিকূল আবহাওয়া, এমনকি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বহু মানুষ তাঁদের প্রিয় ধর্মগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করেছেন। এই বিশাল জনসমাগম সামাল দিতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়েছে।
অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায়, ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ সারা রাত ব্যাসিলিকার দরজা খোলা রাখতে বাধ্য হয়।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ার এবং ভিয়া ডেলা কনসিলিয়াজোনে-র মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি জুড়ে ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি। শোকাহত মানুষের এই ভিড় এক গভীর শোকের আবহ তৈরি করেছে।
শোকের এই সময়ে বহু সন্ন্যাসিনীকেও দেখা যায় তাঁদের প্রিয় ধর্মগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ব্যাসিলিকার অভ্যন্তরে এক নীরব, শোকপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে, যেখানে সকলে ধীরে ধীরে হেঁটে এসে পোপ ফ্রান্সিসের কফিনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
পোপের প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের জীবন ও কর্ম ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর প্রয়াণে শুধু ক্যাথলিক সম্প্রদায় নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষ একজন মহান নেতাকে হারিয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস
