পোপের জীবন ফিরে আসা: এরপর কী? চাঞ্চল্যকর তথ্য!

পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তাঁর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কেমন হবে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসার পর এখন ভ্যাটিকানে (Vatican) ফিরে এসেছেন ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরু। তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণে আসন্ন পবিত্র সপ্তাহ (Holy Week) এবং ইস্টার সানডের (Easter Sunday) অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এমনকি মে মাসে তুরস্ক সফরের পরিকল্পনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পোপ ফ্রান্সিসকে সুস্থ হতে আরও দুই মাস বিশ্রাম নিতে হবে।

এই সময়ে বড় জনসমাগম বা শিশুদের সঙ্গে দেখা করা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার কারণে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের ভ্যাটিকান সফরও স্থগিত করা হয়েছে।

পোপের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনেকে তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

তবে ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ তাঁর অসুস্থতাকে বিশ্বের দুর্বল ও অসহায় মানুষের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের উপায় হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মনে করেন, শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও পোপ মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং আগের মতোই নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।

পোপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কার্ডিনাল মাইকেল করেনি (Cardinal Michael Czerny) জানিয়েছেন, পোপ সবসময় দুর্বল ও অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন।

অসুস্থতার সময়েও তাঁর মধ্যে সেই মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি আরও বলেন, পোপের হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে তাঁর সেবা করার দৃঢ়তা, ভালো ব্যবহার, সাহস এবং বিশ্বাস লক্ষ করা গেছে।

পোপের শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে।

তবে চার্চের ইতিহাসবিদ আলবার্তো ম্যালোনির (Alberto Melloni) মতে, এটি সম্পূর্ণভাবে পোপের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা পোপের পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা এই বিষয়ে কোনো ধারণা রাখেন না।

পোপের বর্তমান বাসস্থান, সান্তা মার্তায় (Santa Marta) তাঁর জন্য একটি নতুন সুবিধাসম্পন্ন বিছানা স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তিনি নিয়মিত অক্সিজেন নিচ্ছেন এবং সার্বক্ষণিক চিকিৎসা পরিষেবা তাঁর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পোপের ব্যক্তিগত নার্স এবং ভ্যাটিকান চিকিৎসক নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।

পোপ ফ্রান্সিস একজন দৃঢ়চেতা মানুষ এবং তাঁর গভীর মিশন রয়েছে।

অতীতেও তিনি কঠিন পরিস্থিতি থেকে ফিরে এসেছেন। তাই, তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে, ক্যাথলিক চার্চের (Catholic Church) ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *