যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্সের সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের সাক্ষাৎ, অভিবাসন ইস্যুতে ভিন্ন মত সত্ত্বেও ইস্টার শুভেচ্ছা বিনিময়।
রোমের ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্স। রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতে তাঁরা ইস্টার উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তাঁদের মধ্যে অভিবাসন নীতি এবং অভিবাসীদের প্রতি আচরণ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তবে এই সাক্ষাৎ সেই বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল।
সাক্ষাৎকালে পোপ ফ্রান্সিস ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্সের তিনটি সন্তানের জন্য তিনটি বড় আকারের চকলেট ইস্টার এগ, একটি ভ্যাটিকান টাই ও কিছু রোজারি উপহার দেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভেন্স ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন।
পোপ ফ্রান্সিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স জানান, “আমি জানি আপনার স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছে না, তবে আপনাকে সুস্থ দেখে ভালো লাগছে।
ভ্যাটিকান সূত্রে জানানো হয়েছে, ডোমুস সান্টা মার্তা-তে কয়েক মিনিটের জন্য তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। ভেন্সের দপ্তর থেকে এই সাক্ষাতের সত্যতা নিশ্চিত করা হলেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ভেন্সের গাড়িবহর ভ্যাটিকান সিটিতে ১৭ মিনিট অবস্থান করে। পরে ভেন্স পরিবারের সঙ্গে সেন্ট পল আউটসাইড দ্য ওয়ালস-এ ইস্টার বিষয়ক প্রার্থনায় যোগ দেন।
সেখানে তারা সেন্ট পল the Apostle-এর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেন।
এই সাক্ষাতের আগে শনিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অফ স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন এবং আর্চবিশপ পল গ্যালাঘেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
তাঁদের মধ্যে ধর্ম, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাথলিক ধর্ম, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি এবং বিশ্ব শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অঙ্গীকার নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে, অভিবাসন ইস্যুতে পোপ ফ্রান্সিস এবং জেডি ভেন্সের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচক, যিনি মনে করেন, অভিবাসন বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ মানবিক মর্যাদার পরিপন্থী।
অন্যদিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স এই নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন। তিনি ক্যাথলিক মতবাদের আলোকে তাঁর এই অবস্থানের স্বপক্ষে যুক্তি দেন।
পোপ ফ্রান্সিস ইস্টার সানডেতে তাঁর ঐতিহ্যবাহী ‘উরবি এট অরবি’ বার্তায় বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং শান্তির জন্য কাজ করেন।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভয়ের কাছে নতি স্বীকার না করে অসহায় মানুষের সাহায্য করুন, ক্ষুধা নিবারণে কাজ করুন এবং উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালান।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান