পোপ লিও চতুর্দশ-এর প্রথম ভাষণে শান্তির আহ্বান, বিশ্বজুড়ে ভক্তদের ভিড়।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে সম্প্রতি নির্বাচিত হওয়া পোপ লিও চতুর্দশ রবিবার সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ব্যালকনিতে এসে তাঁর প্রথম ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি ইউক্রেন ও গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তাঁর এই ভাষণে আবেগপূর্ণ দৃশ্যের অবতারণা হয়, যখন তিনি ঐতিহ্যবাহী ‘রজিনা কেলি’ প্রার্থনাটি আবৃত্তি করেন।
পোপ লিও’র ভাষণে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে। রবিবার সকালে যখন তিনি ভাষণ দিতে আসেন, তখন সেখানে উৎসবের আমেজ ছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যান্ড দলগুলি তাদের নিজস্ব দেশের গান এবং জনপ্রিয় কিছু সুর পরিবেশন করে।
নবনির্বাচিত পোপ তাঁর বক্তব্যে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের পদাঙ্ক অনুসরণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি একটি মিশনারি-কেন্দ্রিক চার্চ, সমকালীন বিশ্বের সঙ্গে সাহসী সংলাপ এবং সমাজের দুর্বল ও অবহেলিত মানুষের প্রতি ভালোবাসার উপর জোর দেন।
অনেকে মনে করছেন, অভিবাসন ও দারিদ্র্যের মতো সামাজিক বিষয়গুলোতে পোপ লিও হয়তো আরও প্রগতিশীল হবেন, তবে ক্যাথলিক মতবাদের নৈতিক দিকগুলোতে তিনি মধ্যপন্থী অবস্থানে থাকবেন।
পোপ লিও তাঁর পোপ নাম নির্বাচনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, তিনি পোপ ত্রয়োদশ লিও-এর পথে হাঁটতে চান, যিনি প্রথম শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
পোপ লিও চতুর্দশ অগাস্টিনিয়ান অর্ডারের প্রথম পোপ। এই অর্ডারের সদস্যরা সেবা ও সমাজ গঠনের উপর জোর দেন।
তিনি এর আগে এক দশক ধরে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পোপ লিও তাঁর প্রথম সপ্তাহান্তে ভ্যাটিকানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে ছিল সান্তা মারিয়া ম্যাজোর ব্যাসিলিকা এবং ইতালির জেনাজ্জানোর মাদোনা দেল বুওন কনসিলিও-র আগস্টিনিয়ান তীর্থস্থান।
আগামী ১৮ই মে তারিখে পোপ লিও-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন