যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর যেন শোরগোল পরে গেছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। ফাদার রবার্ট প্রিভোস্ট, যিনি এখন পোপ লিও চতুর্দশ, তিনি কি শিকাগোর জনপ্রিয় দুটি বেসবল দল—শিকাগো কাবস নাকি হোয়াইট সক্স-এর ভক্ত? এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে শহরজুড়ে।
খবরে প্রকাশ, নতুন পোপের জন্ম আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডলটনে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবর অনুযায়ী, তাঁকে কাবস দলের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপরই যেন হইচই লেগে যায়। কাবস দলের বিপণন বিভাগ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
তারা তাদের মাঠ, রিগলি ফিল্ডের বিশাল পর্দায় লিখে দেয়, ‘এই শিকাগো, তিনি কাবসের ভক্ত!’ খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই জানতে চান, পোপ কি ‘সুপার বোল শাফেল’ নাচতে পারেন? তিনি কি খুব শীঘ্রই ভ্যাটিকানে ‘পোর্টিলো’স’ নামের কোনো খাবারের দোকান খুলবেন? এমনকি, খুব শিগগিরই কি পোপ লিও চতুর্দশ রিগলি ফিল্ডে প্রথম বলটি ছুঁড়বেন?
কাবস দলের চেয়ারম্যান টম রিকেটস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমরা পোপ লিও চতুর্দশকে রিগলি ফিল্ডে স্বাগতম জানাতে উত্সুক। এমনকি তিনি যদি চান তবে “টেক মি আউট টু দ্য বলগেম” গানটি গাইতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, পোপের আগের তিনজন অনুসারী ইয়্যাঙ্কি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে পোপ ষষ্ঠ পল ১৯৬৫ সালে সেখানে একটি ধর্মোপদেশ দিয়েছিলেন। আমরাও চাও পোপকে একইভাবে আমাদের মাঠে পেতে চাই।
তবে এখানেই বাঁধে বিপত্তি। পোপের ভাই জন প্রিভোস্ট জানান, পোপ কখনোই কাবসের ভক্ত ছিলেন না। তিনি ছোটবেলা থেকে হোয়াইট সক্স-এর অনুরাগী। জন প্রিভোস্টের কথার সত্যতা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে শিকাগো সান-টাইমস একটি ছবি প্রকাশ করে।
যেখানে দেখা যায়, ২০০৫ সালের বিশ্ব সিরিজে হোয়াইট সক্সের মাঠে পোপ লিও চতুর্দশকে সাদা স্ট্রাইপযুক্ত সক্সের জার্সি পরে ফোন করতে।
হোয়াইট সক্সও তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লিখেছে, ‘তাহলে আসুন দেখা যাক… এই শিকাগো, তিনি সক্সের ভক্ত!’ বর্তমানে কাবসের থেকে ১২ ম্যাচ পিছিয়ে থাকা হোয়াইট সক্স যেন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপরে একটু হাস্যরসের রং ফেলতে চেয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস