বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক চার্চের নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নাম লিও ১৪। যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভোস্টকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। পোপ নির্বাচনের খবরটি বিশ্বে আনন্দের ঢেউ তুলেছে, আর সেই সাথে বিভিন্ন দেশের নেতারা নতুন পোপের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।
নবনির্বাচিত পোপ, লিও ১৪, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় এটি একটি বিশেষ ঘটনা। এর আগে পোপ ফ্রান্সিস জলবায়ু পরিবর্তন, দরিদ্রতা এবং শান্তির পক্ষে কাজ করেছেন। অনেকের ধারণা, নতুন পোপও তাঁর পূর্বসূরীর পথ অনুসরণ করবেন।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মাইলি বলেছেন, “স্বর্গীয় শক্তি তাদের রায় দিয়েছে।” ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নতুন পোপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো নতুন পোপকে অভিবাসন এবং লাতিন আমেরিকার মানুষের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই নির্বাচনকে ক্যাথলিক চার্চের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এছাড়াও, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সহ আরও অনেকে নতুন পোপকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও নতুন পোপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বিশ্ব শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
পোপ নির্বাচনের এই ঘটনা বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, দারিদ্র্য, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলো বিদ্যমান, তখন নতুন পোপের নেতৃত্ব এই সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা