পোপ লিও ১৪-এর কণ্ঠে পরিবার ও শান্তির বার্তা
ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, পোপ লিও ১৪ তাঁর নতুন দায়িত্বের শুরুতে পরিবার ও শান্তির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পরিবার হলো একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মধ্যে “স্থায়ী বন্ধন”, এবং তিনি অনাগত শিশু ও বয়স্কদের ঈশ্বরের সৃষ্টি হিসেবে সম্মান জানানোর কথা বলেছেন।
পোপ লিও ১৪, যিনি একজন আমেরিকান, ভ্যাটিকানের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে মিলিত হন।
এই সময় তিনি বহু-পক্ষীয় কূটনীতি (multilateral diplomacy) পুনরুজ্জীবিত করার এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দেওয়ার কথা বলেন।
এই সভাটি ছিল মূলত একটি আনুষ্ঠানিকতা, যেখানে নতুন পোপ বিশ্ব সরকারগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, হলি সি (Holy See) আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং ১৮০টির বেশি দেশের সঙ্গে এর কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকও এটি।
পোপ লিও ১৪, অগাস্টিনিয়ান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য, ৮ই মে নির্বাচনের পর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে দেওয়া তাঁর প্রথম ভাষণে শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
তিনি শান্তির অনুসন্ধানে অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করা এবং সতর্কভাবে শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
তাঁর মতে, “শব্দও অস্ত্রের মতো আঘাত করতে এবং এমনকি হত্যা করতে পারে।
পোপ আরও বলেন, সরকারগুলোর উচিত পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা, যা “একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে”।
তিনি বিশেষভাবে দুর্বল এবং অসহায় মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর কথা উল্লেখ করেন, যাদের মধ্যে অনাগত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং বেকার মানুষজনও অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও অভিবাসীদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলেন তিনি।
পোপের এই বক্তব্যগুলি ক্যাথলিক চার্চের মৌলিক নীতির প্রতিধ্বনি।
প্রসঙ্গত, তাঁর পূর্বসূরি পোপ ফ্রান্সিসও গর্ভপাত এবং ইচ্ছামৃত্যুর বিরোধিতা করে এই বিষয়গুলিকে ‘আজকের সমাজের বর্জনের সংস্কৃতি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস