নতুন পোপ হিসেবে প্রথম আমেরিকান, বিশ্বে সাড়া।
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভোস্ট। পোপ লিও ১৪ নামে পরিচিত হওয়া এই নতুন পোপের অভিষেককে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা।
অনেকেই মনে করছেন, পোপ হিসেবে একজন আমেরিকানকে বেছে নেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। খবরটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে আসার পরেই বাংলাদেশের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও আনন্দের ঢেউ লেগেছে।
কার্ডিনাল প্রিভোস্ট, যিনি একসময় পেরুতে মিশনারি হিসেবে কাজ করেছেন, ৬৯ বছর বয়সে পোপ নির্বাচিত হওয়ায় অনেক বিশেষজ্ঞই বিস্মিত হয়েছেন। শিকাগোতে জন্ম নেওয়া এই কার্ডিনালকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করার বিষয়টি ছিলো অপ্রত্যাশিত।
কেউ কেউ একে ‘ঐশ্বরিক ইচ্ছার প্রতিফলন’ হিসেবেও দেখছেন।
ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে এর আগে কোনো আমেরিকান পোপ হননি। তাই, এই নির্বাচনকে “ঐতিহাসিক” হিসেবেও বর্ণনা করছেন অনেকে।
নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যাথলিন স্প্রাউস কামিংসের মতে, “১০০ বছর আগেও এমনটা কল্পনা করা যেত না।” তিনি আরও যোগ করেন, “পোপ লিও ১৪-এর অভিজ্ঞতা তাকে তিনটি ভিন্ন মহাদেশের মধ্যে সেতুবন্ধনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে, যা বর্তমান বিশ্বের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন পোপের দ্রুত নির্বাচন একটি শক্তিশালী ঐকমত্যের ইঙ্গিত দেয় এবং চার্চের ভবিষ্যতের জন্য শুভ লক্ষণ।
পোপের প্রথম ভাষণে ‘ঈশ্বর সবাইকে ভালোবাসেন’ এই কথাটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দিকটি বিবেচনা করে অনেকে মনে করছেন, নতুন পোপ বিশ্বজুড়ে চার্চের পরিধি আরও প্রসারিত করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর লিও ১৪-এর পোশাক নির্বাচনের ধরনও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে তিনি ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
পোপ নির্বাচনের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। একইসাথে, এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল