পোপ লিও ১৪, প্রথম আমেরিকান পোপ, বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ দিলেন। তিনি শান্তির বার্তা দিলেন এবং তাঁর পূর্বসূরি পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘অশুভ শক্তি জয়ী হবে না’।
ভ্যাটিকান সিটিতে অবস্থিত সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ব্যালকনি থেকে পোপ লিও ১৪-কে তাঁর প্রথম ভাষণ দিতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের কিছু আগে তিনি ভাষণ শুরু করেন।
৬৯ বছর বয়সী নতুন পোপ ইতালীয় এবং স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে উপস্থিত বিশাল জনতা তাঁর কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ভাষণের শুরুতে তিনি ‘আপনাদের সকলের শান্তি হোক’ এই কথা বলেন।
প্রায় ১০ মিনিটের ভাষণে পোপ লিও ১৪ প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও পোপ ফ্রান্সিসের দুর্বল কিন্তু সাহসী কণ্ঠস্বর শুনতে পাই, যিনি ইস্টার সানডেতে সারা বিশ্বকে আশীর্বাদ করেছিলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাকে সেই একই আশীর্বাদ অনুসরণ করতে দিন: ঈশ্বর আমাদের ভালোবাসেন, তিনি আপনাদের ভালোবাসেন এবং অশুভ শক্তি জয়ী হবে না।’
নতুন পোপ নিজেকে ‘সেন্ট অগাস্টিনের পুত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সেন্ট অগাস্টিন বাইবেলের ব্যাখ্যা এবং সহজ ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি তাঁর ‘ভাই কার্ডিনালদের’ ধন্যবাদ জানান, যারা তাঁকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি পেরুর চিকলায়োর ডাইওসিসকেও ধন্যবাদ জানান।
শান্তি ছিল তাঁর ভাষণের মূল সুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সিনডাল চার্চ হতে হবে। একটি চার্চ যা হেঁটে চলে। একটি চার্চ যা সবসময় শান্তি খুঁজে ফেরে। সবসময় পরোপকারিতা খুঁজে ফেরে। বিশেষ করে যারা কষ্ট পায়, তাদের কাছে থাকার চেষ্টা করে।’
এরপর তিনি বিশ্ব শান্তির জন্য চার্চের নতুন মিশনের জন্য প্রার্থনা করেন।
পোপ লিও ১৪, ১৯৫৫ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন পেরু-আমেরিকান, জন্মসূত্রে শিকাগোর বাসিন্দা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে বিশপদের ডিকেস্টেরির প্রিফেক্ট এবং ল্যাটিন আমেরিকার পন্টিফিকাল কমিশনের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করেন। সেই বছরই সেপ্টেম্বরে তিনি কার্ডিনাল পদে উন্নীত হন।
পোপ হিসেবে ‘লিও’ নামটি বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য। সেইন্ট লিও ১ম-এর সময় থেকে এই নামের ব্যবহার হয়ে আসছে, যিনি ৪৬১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।
তথ্য সূত্র: পিপল