নতুন পোপ লিও ১৪-এর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি: যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাধিকারের ইতিহাস
ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নতুন ধর্মগুরু নির্বাচিত হয়েছেন পোপ লিও ১৪। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং এই পদে আসীন প্রথম আমেরিকান।
সম্প্রতি তার অতীতের কিছু রাজনৈতিক কার্যকলাপ প্রকাশ্যে এসেছে, যা অনেকের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের ইতিহাস নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিকাগোর উইল কাউন্টিতে বসবাস করার সময় পোপ লিও ১৪ একাধিকবার ভোট দিয়েছেন।
জানা যায়, তিনি রিপাবলিকান দলের প্রাথমিক নির্বাচনে বেশ কয়েকবার ভোট দিয়েছেন, যদিও ডেমোক্রেটিক পার্টির কোনো নির্বাচনে তাকে ভোট দিতে দেখা যায়নি। এমনকি ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি ভোট দেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা কোনো নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নিবন্ধিত হন না, তাই পোপের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা কঠিন।
তবে, তার ভোট দেওয়ার ধরন দেখে রাজনৈতিক মহলে তার একটি বিশেষ মতাদর্শের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
পোপ লিও ১৪-এর সামাজিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভেন্সের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিবার ও আপনজনদের ভালোবাসাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন, যার প্রতিক্রিয়ায় পোপ লিও একটি নিবন্ধ শেয়ার করে তার ভিন্ন মত প্রকাশ করেন।
এছাড়াও, অতীতে তিনি এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেছিলেন।
তবে পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এক ভাষণে সকলের প্রতি সহানুভূতি এবং আলোচনার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চার্চ এমন একটি স্থান হবে, যেখানে সবাই আশ্রয় পাবে এবং আলোচনা ও ভালোবাসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।
পোপ লিও ১৪-এর এই অতীত এবং বর্তমানের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে অনেকে তার ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা পেতে চেষ্টা করছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন, সেদিকে এখন সকলের দৃষ্টি।
তথ্য সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস