পোপ লিও চতুর্দশ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সাক্ষাৎ, শান্তির বার্তা দিলেন নতুন পোপ।
ভ্যাটিকানে অভিষেক অনুষ্ঠানের পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নতুন পোপ লিও চতুর্দশ। রবিবার (স্থানীয় সময়) সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
খবর আল জাজিরার।
সাক্ষাতে জেলেনস্কি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি আলোচনা আয়োজনে ভ্যাটিকানের আগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমরা যেকোনো মাধ্যমে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আমরা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির পক্ষে সুস্পষ্ট কণ্ঠস্বরকে স্বাগত জানাই।”
অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে নতুন পোপ বিশ্বে শান্তির বার্তা দেন এবং চার্চের মধ্যে ঐক্যের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “আমি চাই আমাদের প্রধান আকাঙ্ক্ষা হোক একটি ঐক্যবদ্ধ চার্চ, যা ঐক্য ও যোগাযোগের প্রতীক হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে সহায়ক হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বর্তমান সময়ে আমরা ঘৃণা, সহিংসতা, ভিন্নতার ভয় এবং পৃথিবীর সম্পদ শোষণকারী একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে সৃষ্ট অনেক বিভেদ ও ক্ষত দেখতে পাচ্ছি।”
পোপ লিও চতুর্দশ, যিনি আগে কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভোস্ট নামে পরিচিত ছিলেন, তাঁর ভাষণে যুদ্ধের শিকার ইউক্রেন ও গাজার মানুষের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেন “নির্যাতিত” হচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিরা “অনাহারে” দিন কাটাচ্ছে।
পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় তিনি ভয়ে ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, তিনি “স্বৈরশাসকের” মতো নেতৃত্ব দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, “এটি কখনোই শক্তি, ধর্মীয় প্রচার বা ক্ষমতার মাধ্যমে অন্যদের জয় করার প্রশ্ন নয়। বরং, এটি সর্বদা যিশুর মতো ভালোবাসার বিষয়।”
অনুষ্ঠানে ইসরায়েল, পেরু ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, ইতালি, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রাংক-ওয়াল্টার স্টাইনমিয়ার, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেটিজিয়া সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা