প্রেমের নামে ছলনা: পরকীয়া সম্পর্কের আসল কারণ!

প্রেমের গল্প যুগে যুগে মানুষের মনে আগ্রহ জাগিয়েছে, আর এর সঙ্গে যদি যোগ হয় গোপন সম্পর্ক বা পরকীয়া, তবে সেই গল্প যেন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

সম্প্রতি, মনোবিজ্ঞানী জুলিয়েট রোজেনফেল্ডের লেখা ‘অ্যাফেয়ার্স: ট্রু স্টোরিজ অফ লাভ, লাইস, হোপ অ্যান্ড ডেস্পেয়ার’ (Affairs: True Stories of Love, Lies, Hope and Despair) বইটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বইটি মূলত বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কগুলোর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে।

বইটিতে রোজেনফেল্ড বেশ কয়েকজন মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরকীয়া সম্পর্কের কারণগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি মূলত পাঁচটি ঘটনার ওপর আলোকপাত করেছেন যেখানে বিভিন্ন বয়সের, পেশার মানুষজন তাদের বিবাহিত জীবনে অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

লেখিকা এই সম্পর্কগুলোর গভীরে প্রবেশ করে মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন। রোজেনফেল্ডের মতে, মানুষের অতীতের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে শৈশবের কিছু ঘটনা অনেক সময় এই ধরনের সম্পর্কের জন্ম দেয়।

বইটির পর্যালোচনা করতে গিয়ে অনেকে এর বিষয়বস্তুর গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণ হিসেবে অতীতের ঘটনার প্রভাব—এই ধারণা নতুন কিছু নয়।

তবে লেখিকা তাঁর অনুসন্ধানে কিছু নতুন দিক যুক্ত করেছেন, যা পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ থাকার পরও কেন একজন মানুষ অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হন, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন তিনি।

আবার, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণও করেছেন লেখিকা।

পর্যালোচকরা বইটির দুর্বলতা হিসেবে এর সংলাপ এবং কিছু বর্ণনার দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মতে, চরিত্রগুলোর মধ্যেকার কথোপকথন অনেক সময় স্বাভাবিক মনে হয় না।

তবে, বইটির বিষয়বস্তু, অর্থাৎ পরকীয়া সম্পর্কের পেছনের কারণগুলো অনুসন্ধানের যে আগ্রহ, তা অনেকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে।

মোটকথা, জুলিয়েট রোজেনফেল্ডের ‘অ্যাফেয়ার্স’ বইটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কগুলোর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রয়াস।

বইটি পাঠকদের সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষের আবেগ-অনুভূতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে উৎসাহিত করতে পারে। তবে, এই ধরনের সম্পর্কের কারণগুলো নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানের অবকাশ রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *