পোর্টলান্ডে অভিবাসন ইস্যুতে উত্তেজনা, ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের শহর পোর্টলান্ডে অভিবাসন সংক্রান্ত নীতির জেরে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা। শহরের কর্তৃপক্ষ এবং বাসিন্দারা অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শহরে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পোর্টলান্ড শহর নিজেকে ‘অভয় শহর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর অর্থ হলো, শহর কর্তৃপক্ষ ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা সীমিত করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতিবাদে শহরের মেয়র এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আইস-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, এর ফলস্বরূপ শহরটি ফেডারেল তহবিল হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে)।
পোর্টলান্ডের মেয়র কিথ উইলসন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি শহরের নাগরিকদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শহর কর্তৃপক্ষ আইস-এর একটি অফিসের বিরুদ্ধে নির্মাণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এছাড়া, শহরের কাউন্সিল আইস-এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে, যা তাদের ‘অভয় শহর’ ঘোষণার প্রতি সমর্থন যোগায়।
পোর্টলান্ডের এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে কারণ, শহরটিতে অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভগুলো অনেক দিন ধরে চলেছিল, যা সহিংস রূপ নিয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও পোর্টলান্ডকে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ হিসেবে অভিহিত করে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন।
বর্তমানে, আইস অফিসের বাইরে প্রায়ই বিক্ষোভ দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা আইস-এর অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে সোচ্চার।
তবে, স্থানীয় কর্মকর্তারা অতীতের বিক্ষোভের পুনরাবৃত্তি চান না। তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করেন, কিন্তু একই সাথে শহরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পোর্টলান্ডের এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। শহর এবং ফেডারেল সরকারের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন