পোরটল্যান্ডে সেনা পাঠাতে ট্রাম্পের ফতোয়া! আদালতের কড়া জবাব, তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড শহরে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে আপাতত স্থগিত করেছেন একজন ফেডারেল বিচারক। ওরেগনের এই শহরে ট্রাম্প প্রশাসন ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে চেয়েছিল।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আদালতের এই রায়ের ফলে সেই প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। খবর অনুযায়ী, শহরের কর্তৃপক্ষ ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরেই বিচারক এমন নির্দেশ দিলেন।

বিচারক কারিন ইমারগুট তার রায়ে বলেছেন, শহরের সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলো ফেডারেল বাহিনীর ব্যবহারের মতো গুরুতর ছিল না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হলে তা রাজ্যের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানতে পারে।

এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক আইনের পরিপন্থী।

তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেল জ্যাকসন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডারেল সম্পদ এবং কর্মীদের রক্ষার জন্য আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।

তারা উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।

অন্যদিকে, ওরেগনের অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যান রেইফিল্ড এই রায়কে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ওপর একটি ‘স্বাস্থ্যকর নিয়ন্ত্রণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “পোর্টল্যান্ড প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিধ্বস্ত কল্পনার জগৎ নয়। আমাদের শহরে কোনো বিদ্রোহও হয়নি।

ওরেগন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের তার রাজনৈতিক খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে ডেমোক্রেটদের নেতৃত্বাধীন শহরগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার হুমকি দিয়েছে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন, শিকাগো এবং মেমফিস অন্যতম।

আদালতের এই রায়ের আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করে যে, ফেডারেল ভবন রক্ষার জন্য ২০০ জন ওরেগন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হবে।

এর প্রতিক্রিয়ায়, স্থানীয় কর্মকর্তারা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) অফিসের সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ করে আসছিল।

যদিও বিক্ষোভগুলো সাধারণত ছোট আকারের ছিল।

২০২০ সালেও জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর জাতিগত ন্যায়বিচারের দাবিতে দীর্ঘ বিক্ষোভের সময় ট্রাম্প প্রশাসন পোর্টল্যান্ডে ফেডারেল অফিসারদের পাঠিয়েছিল। সেসময় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *