পর্তুগালে ফের নির্বাচন: সরকার গঠনে কি জটিলতা?

পর্তুগালে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেন কাটছেই না। গত তিন বছরের মধ্যে দেশটির জনগণ তৃতীয়বারের মতো তাদের নতুন সরকার নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল অভিবাসন এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনিগ্রোর নেতৃত্বাধীন সেন্টার-রাইট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স দল নির্বাচনে এগিয়ে ছিল। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের কম বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর দল আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেই এই নির্বাচনের ডাক আসে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের একটি পরামর্শক সংস্থার কার্যকলাপ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তিনি এই পদক্ষেপ নেন। যদিও তিনি দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স জয়ী হলেও সরকার গঠনে তাদের বেগ পেতে হতে পারে। কারণ সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১৬টি আসন তারা নাও পেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেন্টার-লেফ্ট সোশ্যালিস্ট পার্টিও ভালো ফল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, অভিবাসন, গর্ভপাত এবং এলজিবিটিকিউ অধিকারের বিরোধী চরম-ডানপন্থী চেগা পার্টি নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবারের নির্বাচনে দলটি ৫০টি আসন জিতেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সরকার গঠনে চেগা পার্টি এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী মন্টেনিগ্রো এরই মধ্যে বলেছেন, তিনি চেগা পার্টির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে রাজি নন।

নির্বাচনী প্রচারণায় পর্তুগালের অর্থনীতি, অভিবাসন এবং আবাসন সংকট ছিল প্রধান ইস্যু। নির্বাচনের আগে লিসবনে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের কাছে স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য সমর্থন চেয়েছেন। ভোট গ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই, ইউরোপ এবং বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। আর সে জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী সরকার দরকার।”

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *