কম বাজেটে রুচিশীল এবং স্মার্ট দেখতে চান? সঠিক রঙের ব্যবহারই এক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি। পোশাকের রং নির্বাচনই পারে আপনার সাজে আভিজাত্যের ছোঁয়া যোগ করতে।
দামি পোশাকের বদলে, কয়েকটি কৌশল জানা থাকলে স্বল্প মূল্যের পোশাক পরেও আপনি হয়ে উঠতে পারেন আকর্ষণীয়।
আসলে, রুচিশীলতা কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা দামের ওপর নির্ভর করে না। বরং, পোশাকের রং নির্বাচন এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
উজ্জ্বল রঙের বদলে, হালকা ও উষ্ণ কিছু রং বেছে নিন। যেমন – জলপাই সবুজ, টেরাকোটা, কফি, হালকা ধূসর, বেইজ, বাটার-এর মতো রংগুলো বেছে নিতে পারেন।
এই রংগুলো একদিকে যেমন মার্জিত, তেমনই যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে।
সাধারণত, পোশাকের দোকানে গেলে আমরা কালো বা সাদা রঙের দিকে আকৃষ্ট হই, কারণ এই রংগুলো সবসময় ব্যবহার করা যায়।
আবার, উজ্জ্বল রংগুলোও আমাদের নজর কাড়ে, যা পোশাকটিকে বিশেষ করে তোলে। কিন্তু আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলার জন্য উজ্জ্বল রঙের চেয়ে হালকা, মাটির কাছাকাছি রংগুলো বেশি কার্যকরী।
এই ধরনের রংগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন? সহজ উপায় হলো, এই রংগুলোকে নিউট্রাল হিসেবে ব্যবহার করা।
একটি পোশাকের সাথে অন্য পোশাকের রং কিভাবে মানানসই হবে, সেই বিষয়ে বেশি চিন্তা না করে, কয়েকটি রং একসাথে পরুন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি হালকা হলুদ রঙের শার্ট পরেন, তবে তার সাথে একটি বাদামী রঙের চামড়ার জ্যাকেট পরতে পারেন। অথবা, খাকি রঙের প্যান্টের সাথে সমুদ্র সবুজ রঙের শার্ট পরতে পারেন।
আপনার পোশাকের সংগ্রহে থাকা পুরনো পোশাকগুলোও নতুন করে ব্যবহার করতে পারেন।
ধরুন, আপনার একটি গাঢ় মেরুন রঙের সোয়েটশার্ট আছে, যা হয়তো কালো প্যান্ট বা জুতার সাথে পরলে খুব একটা ভালো লাগে না।
এক্ষেত্রে, হালকা নীল রঙের একটি জিন্স এবং বাদামী রঙের সুয়েডের জুতার সাথে এটি পরুন। দেখুন, কেমন ভিন্ন লাগছে!
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করে, আপনি সহজেই আপনার পোশাকের মাধ্যমে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমে, স্বল্প বাজেটেই নিজেকে করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয় এবং রুচিশীল।
তথ্য সূত্র: The Guardian
