মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ারবল লটারির জ্যাকপট ১.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় বিশাল একটি অঙ্ক। সোমবার, শ্রমিক দিবসে এই পুরস্কার জেতার জন্য ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবারের ড্র-তে কোনো বিজয়ী না হওয়ায় এই বিশাল পরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। পাওয়ারবলের ইতিহাসে এটি পঞ্চম বৃহত্তম পুরস্কারের অঙ্ক।
শনিবারের ড্র-এর বিজয়ী নম্বরগুলো ছিল: ৩, ১৮, ২২, ২৭, ৩৩ এবং পাওয়ারবল নম্বর ছিল ১৭। এই লটারি জেতার সম্ভাবনা ২৯২.২ মিলিয়নে ১।
যদি কেউ সোমবারের ড্র জেতেন, তবে তিনি দুটি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারবেন। প্রথমত, তিনি ১.১ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক বৃত্তি (annuity) নিতে পারেন, যা ৩০ বছর ধরে পরিশোধ করা হবে।
অথবা, তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রায় ৪৯৮.৪ মিলিয়ন ডলার নিতে পারেন। উল্লেখ্য, উভয় ক্ষেত্রেই কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পাওয়ারবল কর্তৃপক্ষের মতে, বিজয়ী যদি বার্ষিক বৃত্তি বেছে নেন, তবে তিনি শুরুতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন এবং পরবর্তী ২৯ বছর ধরে প্রতি বছর ৫% হারে তাঁর অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, লটারির পুরো অর্থ একবারে নিতে চাইলে, তিনি প্রায় ৪৯৮.৪ মিলিয়ন ডলার পাবেন।
পাওয়ারবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জ্যাকপট ছিল ২.০৪ বিলিয়ন ডলার, যা ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর জেতা হয়েছিল। গত ৩১ মে ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বশেষ এই লটারি জেতা হয়েছিল।
এবার এটি টানা ৪০তম ড্র, যেখানে কেউ পুরস্কার জেতেনি। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কোনো বিজয়ী না হওয়ার রেকর্ডটি হলো ৪২টি ড্র, যা এপ্রিল, ২০২৪ এ হয়েছিল।
পাওয়ারবলের টিকিট-এর মূল্য ২ ডলার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্য, ওয়াশিংটন ডিসি, পুয়ের্তো রিকো এবং ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ড-এ বিক্রি হয়।
যেহেতু এই লটারি বাংলাদেশে সরাসরি খেলার সুযোগ নেই, তাই এই খবরটি আন্তর্জাতিক একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেখা যেতে পারে। এত বিশাল অঙ্কের পুরস্কার জেতার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আগ্রহের বিষয়।
এই বিশাল পরিমাণ অর্থের কারণে, লটারিটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি একটি আকর্ষণীয় ঘটনা, যা অনেক মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন