আসছে ‘প্রেডটর: ব্যাডল্যান্ডস’! হতাশ এলিয়েন জগৎ, উত্তেজনায় ভক্তরা!

বাণিজ্যিক সাফল্যের লক্ষ্যে নির্মিত সিনেমাগুলোর যুগে, পুরনো জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে একত্রিত করে নতুন কিছু তৈরির প্রবণতা বাড়ছে। এই ধারায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘প্রেডেটর: ব্যাডল্যান্ডস’ (Predator: Badlands)। সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে এই সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, কারণ এটি ‘এলিয়েন’ (Alien) সিরিজের সঙ্গে ‘প্রেডেটর’ (Predator) ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে।

‘এলিয়েন’ এবং ‘প্রেডেটর’ – এই দুটি সিনেমাই সাই-ফাই (Sci-fi) ঘরানার দর্শকপ্রিয় সিনেমা। এদের গল্পে ভিনগ্রহের প্রাণী এবং মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক, টিকে থাকার লড়াই, ভয়ের আবহ – এমন নানা বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে ‘প্রেডেটর ২’ (Predator 2) সিনেমায় প্রথম ‘এলিয়েন’-এর কঙ্কাল দেখা যাওয়ার পর থেকেই এই দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

যদিও এর আগে ‘এলিয়েন ভার্সেস প্রেডেটর’ (Alien vs Predator) এর মতো সিনেমা তৈরি হয়েছে, তবে ‘ব্যাডল্যান্ডস’ সিনেমায় নির্মাতারা একটি নতুন আঙ্গিকে গল্পটি বলতে চাইছেন।

নতুন এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন এল ফ্যানিং (Elle Fanning)। সিনেমায় থিয়া নামের একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে, যিনি সম্ভবত ‘ওয়েল্যান্ড-ইউটানি’ (Weyland-Yutani) কর্পোরেশনের তৈরি করা একজন ‘সিন্থেটিক’ বা অ্যান্ড্রয়েড। সিনেমার ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

অনেকেই মনে করছেন, এটি সিনেমার গল্পে নতুন একটি মাত্রা যোগ করবে।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ড্যান ট্রাখটেনবার্গ (Dan Trachtenberg)। এর আগে তিনি ‘প্রে’ (Prey) নামের একটি সিনেমা বানিয়েছিলেন, যা দর্শক ও সমালোচক উভয় মহলেই প্রশংসিত হয়েছে।

‘প্রে’ সিনেমায় আদিম যুগের একজন কোমাঞ্চে যোদ্ধার গল্প দেখানো হয়েছে, যিনি একজন ‘প্রি-প্রেডেটর’-এর (proto-Predator) মুখোমুখি হন। ট্রাখটেনবার্গের পরিচালনা শৈলী এবং গল্পের নতুনত্ব ‘ব্যাডল্যান্ডস’-এর ক্ষেত্রেও দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা করার সময় একটি বিষয় বিশেষভাবে উঠে আসছে, তা হলো এর গভীরতা। সিনেমাটি শুধু অ্যাকশন বা দৃশ্য-নির্ভর না হয়ে, চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক দিক এবং তাদের ভেতরের অনুভূতির উপর জোর দেবে।

নির্মাতারা সম্ভবত এমন একটি জগৎ তৈরি করতে চাইছেন, যেখানে ভয়, একাকিত্ব এবং অস্তিত্বের সংকট – এই বিষয়গুলো প্রধান হয়ে উঠবে।

তবে, এই মুহূর্তে সিনেমাটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। ট্রেলার এবং প্রকাশিত কিছু তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ‘ব্যাডল্যান্ডস’ দর্শকদের জন্য একটি ভিন্ন স্বাদের সিনেমা হতে যাচ্ছে।

দেখা যাক, এই সিনেমাটি ‘এলিয়েন’ এবং ‘প্রেডেটর’ – এই দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ভক্তদের কতটা মন জয় করতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *