শিরোনাম: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন: বন্ধুর ঘন ঘন আসা নিয়ে আপত্তি, প্রেমিক ‘অসংবেদনশীল’ বলছেন?
গর্ভবতী এক নারীর ব্যক্তিগত পরিসর নিয়ে উদ্বেগের গল্প। তাঁর প্রেমিক বন্ধুর ঘন ঘন তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, আর তাতেই সম্পর্কের ফাটল ধরার উপক্রম।
ওই নারীর মতে, এই পরিস্থিতিতে তাঁর একটু বেশি ব্যক্তিগত স্থান প্রয়োজন, কিন্তু তাঁর প্রেমিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
জানা গেছে, ওই নারীর প্রেমিক একটি বন্ধুর সঙ্গে থাকেন, যিনি বর্তমানে তাঁর ভ্যানগাড়িতে বসবাস করছেন। বন্ধুটি বেশ কয়েক মাস ধরে সপ্তাহে কয়েক দিন তাঁদের বাড়িতে আসেন।
সেখানে তিনি গোসল করেন, রান্নাঘরের সুবিধা ব্যবহার করেন, কাপড় ধোন এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করেন।
ওই নারীর অভিযোগ, এতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে তাঁর বিশ্রাম এবং কিছুটা নির্জনতা প্রয়োজন।
ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিককে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বরং তাঁর বন্ধুকে এমন কথা বলতে নারাজ।
প্রেমিকের মতে, বন্ধুর এই সময়ে তাঁর পাশে থাকাটা জরুরি। এমনকি, তিনি নাকি এও বলেছেন যে, তাঁর প্রেমিকা এমন আবদার করে ‘অসংবেদনশীলতা’ দেখাচ্ছেন।
ওই নারী তাঁর এই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি অনলাইন ফোরামে (Reddit) সাহায্য চেয়েছেন। সেখানে অনেকেই তাঁর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন।
তাঁদের মতে, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর এই ধরনের ব্যক্তিগত পরিসর চেয়ে নেওয়াটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে যখন বাড়তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন হয়।
ওই নারীর মতে, তাঁর প্রেমিক যদি বন্ধুকে অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করতে বলেন, তাহলে তাঁর সুবিধা হয়। কারণ বন্ধুর জন্য তাঁকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়।
তিনি জানান, বন্ধুটি নির্মাণ শ্রমিক হওয়ায় তাঁর আনা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করতে হয় তাঁকে। এছাড়াও, রান্নার সময় রান্নাঘর ব্যবহার করতে না পারা এবং তাঁর এঁটো বাসন ধোয়ার মতো সমস্যা তো রয়েছেই।
বিষয়টি নিয়ে যখন তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তিনি জানান, তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলাটা ‘অস্বস্তিকর’ হবে। এমনকি তিনি এও বলেন, তাঁর প্রেমিকার এই ধরনের আবদার করাটা ‘নির্মমতা’।
এই ঘটনার পরে, ওই নারী জানতে চান, কয়েক মাসের জন্য বন্ধুকে তাঁদের বাড়িতে আসতে বারণ করাটা কি ঠিক হবে?
যদিও অনলাইনে অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁর এই উদ্বেগকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর এই সময়ে নিজের মতো করে থাকার অধিকার রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল