শিরোনাম: প্রিমিয়ার লিগে উত্তরণের লড়াই: মার্কিন বিনিয়োগের ঝলকানি
বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন ইংলিশ ফুটবল।
বিশেষ করে, প্রিমিয়ার লিগে (Premier League – EPL) খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য দলগুলোর মধ্যে যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে, তা অত্যন্ত উপভোগ্য। সম্প্রতি, দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (Championship League) শীর্ষ তিনটি দল – লিডস ইউনাইটেড, বার্নলি এবং শেফিল্ড ইউনাইটেডের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাওয়ার লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
এই তিনটি দলের মালিকানায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী, যা এই লড়াইকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
আসলে, প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া মানেই বিপুল পরিমাণ অর্থের হাতছানি।
জানা গেছে, যারা প্রিমিয়ার লিগে উঠতে পারবে, তাদের জন্য প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশাল অংকের টাকা দলগুলোর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তাদের খেলোয়াড়দের জন্যও সুযোগ নিয়ে আসে।
বর্তমানে, লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে রয়েছে লিডস ইউনাইটেড।
তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৮৫ পয়েন্ট।
এরপরের স্থানে থাকা বার্নলিরও সংগ্রহে সমান ৮৫ পয়েন্ট।
আর ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড।
এই তিনটি দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।
ঐতিহ্যগতভাবে, লিডস ইউনাইটেড একটি শক্তিশালী দল এবং তাদের সমর্থকও অনেক বেশি।
এই দলের মালিকানায় রয়েছে সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক একটি বিনিয়োগকারী গ্রুপ, যাদের মধ্যে আমেরিকার বিখ্যাত গলফার জর্ডান স্পিয়েথ এবং জাস্টিন থমাসও রয়েছেন।
অন্যদিকে, বার্নলির মালিকানায় রয়েছে ‘এএলকে ক্যাপিটা’ নামের একটি বিনিয়োগকারী সংস্থা, যার প্রধান হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী অ্যালান পেস।
তাদের দলে রয়েছেন সাবেক আমেরিকান ফুটবল তারকা জে জে ওয়াটও।
শেফিল্ড ইউনাইটেডের মালিকানা সম্প্রতি এসেছে ‘সিওএইচ স্পোর্টস’ নামক একটি কনসোর্টিয়ামের হাতে।
খেলাধুলায় আগ্রহ আছে এমন অনেকেরই হয়তো জানা আছে, প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি লিগ।
এই লিগে খেলার সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের জন্য বিশাল সম্মানের। এছাড়াও, প্রিমিয়ার লিগের খেলাগুলো বিশ্বজুড়ে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়, ফলে খেলোয়াড়রা দ্রুত পরিচিতি লাভ করে।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যেও প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয়তা অনেক।
এই মুহূর্তে, লিগ টেবিলের পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ।
শীর্ষ তিনটি দলের প্রত্যেককেই তাদের সেরাটা দিতে হবে, কারণ সামান্য ভুলের কারণে তাদের প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে।
প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেলে শীর্ষ তিনটি দলের বাইরে থাকা দলগুলোও সুযোগ পেতে পারে।
প্লে-অফে ভালো করতে পারলে তারাও প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
আসুন, এখন অপেক্ষার পালা।
লিগের বাকি ম্যাচগুলোতে দলগুলোর পারফরম্যান্স কেমন হয়, সেদিকেই সবার নজর থাকবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস