সপ্তাহান্তের ফুটবল: সেমিফাইনালের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!

প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের সেমিফাইনাল: খেলার মাঠের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

এই সপ্তাহের প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপের সেমিফাইনালগুলি ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। আসুন, সেই ম্যাচগুলি থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা যাক।

আনফিল্ডে টটেনহ্যামের অসহায় আত্মসমর্পণ : ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে, উত্তর লন্ডনের একটি দল অ্যানফিল্ডে খেলতে এসেছিল। সেই ম্যাচে লিভারপুল জয়লাভ করে লিগ জেতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এবারও যেন তেমনটাই দেখা গেল।

টটেনহ্যামের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকবার বিপজ্জনক স্থানে বল হারায়। তারা সংখ্যায় ডিফেন্স করলেও, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। ফলে, লিভারপুল ৫-১ গোলে জয়লাভ করে।

অন্যদিকে, ১৯৯৮ সালে, টটেনহ্যামের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তারা কোনোমতে রেলিগেশন জোন থেকে নিজেদের বাঁচিয়েছিল। সেই ম্যাচেও তারা ১-০ গোলে হেরে যায়।

ম্যানচেস্টার সিটির জয় : ম্যানচেস্টার সিটি বনাম নটিংহাম ফরেস্টের খেলায় ম্যাতেও কোভাচিচ ছিলেন দলের প্রধান চালিকাশক্তি। মাঝমাঠের এই খেলোয়াড়টির অসাধারণ পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে সিটি ২-০ গোলে জয়লাভ করে।

কোভাচিচ জানান, “দল হিসেবে আমরা আরও শক্তিশালী হচ্ছি এবং সবাই এখন শতভাগ মনোযোগী।”

শ’কে নিয়ে ইউনাইটেডের নতুন আশা : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে লুক শ’র ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। ইনজুরির কারণে অনেক সময় তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন।

তবে, সম্প্রতি বোর্নমাউথের বিরুদ্ধে তিনি পুরো ম্যাচ খেলেছেন। সম্ভবত, তিনি এবার রুবেন অ্যামোরিমের ৩-৪-৩ ফর্মেশনে ভালো খেলতে পারবেন। ম্যানেজারের মতে, “লুক শ’র ক্রস করার দক্ষতা অসাধারণ।”

প্যালেসের কামাদা : ক্রিস্টাল প্যালেসের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডাইচি কামাদা। তবে, শুরুতে তিনি প্রিমিয়ার লিগের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যা অনুভব করছিলেন।

তবে, ওয়েম্বলিতে তিনি অসাধারণ পারফর্ম করেন এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

নিউক্যাসল ও ইপসউইচের দুই পথের গল্প : নিউক্যাসলের বিপক্ষে ইপসউইচ টাউনের খেলা ছিল বেশ উত্তেজনাকর। ম্যাচে নিউক্যাসল ৩-০ গোলে জয়লাভ করে।

অন্যদিকে, উলভসের সেমেদো : উলভসের খেলোয়াড় নেলসন সেমেদো মনে করেন, নটিংহাম ফরেস্টের মতো তার দলও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। সেমেদো নিজেও এই দলের অংশ হতে চান।

পটারের হতাশা : ব্রাইটনের কাছে ওয়েস্ট হ্যামের হারের পর গ্রাহাম পটার বেশ হতাশ ছিলেন। ব্রাইটন-ওয়েস্ট হ্যামের ম্যাচটি ছিল ৩-২ গোলে।

টমাস সুসেক ৭ মিনিট আগে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, ব্রাইটনের হয়ে কাওরু মিতোমা গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান এবং কার্লোস বালেবার জয়সূচক গোলে ওয়েস্ট হাম পরাজিত হয়।

সিসেগনের ঝলক : ফুলহ্যামের হয়ে রায়ান সেসেগনন বেশ ভালো খেলছেন। তিনি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গোল করেছেন এবং ম্যানেজারের আস্থা অর্জন করেছেন।

চেলসির জয় : এভারটনের বিপক্ষে চেলসির জয় ছিল ১-০ গোলে। নিকোলাস জ্যাকসন গোল করার পর নননি মাদুয়েকের খেলাও ছিল দারুণ।

তবে, দলের খেলোয়াড় কোল পালমারের ফর্ম নিয়ে এখনো চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

নটিংহাম ফরেস্টের আক্ষেপ : নটিংহাম ফরেস্টের খেলোয়াড়রা, ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি। তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *