বাংলার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় আপনার পোষা প্রাণীকে সুরক্ষিত রাখুন।
বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি সাধারণ ঘটনা। এই ধরনের দুর্যোগের সময়, আমরা যেমন আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই, তেমনি আমাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ, অর্থাৎ আমাদের পোষা প্রাণীগুলোর সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আপনার আদরের বিড়াল বা কুকুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমে, আপনার পোষা প্রাণীর জন্য একটি জরুরি কিট প্রস্তুত করুন। এই কিটে খাদ্য, জল, ঔষধপত্র এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম রাখা অপরিহার্য।
এছাড়াও, তাদের পরিচিত খেলনা, কম্বল, এবং লিড বাor leash-এর মতো জিনিস রাখা ভালো। এই কিটটি এমন জায়গায় রাখুন যা সহজেই আপনার হাতের কাছে পাওয়া যায়।
আপনার পোষা প্রাণীর পরিচয় শনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের গলায় আইডি ট্যাগ পরিয়ে দিন, যেখানে আপনার নাম, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য লেখা থাকবে।
এছাড়াও, তাদের মাইক্রোচিপ করানো নিশ্চিত করুন। মাইক্রোচিপের তথ্য আপ-টু-ডেট রাখুন, যাতে তারা হারিয়ে গেলে দ্রুত তাদের খুঁজে বের করা যায়।
দুর্যোগের সময় আপনার পোষা প্রাণীটিকে শান্ত রাখা অপরিহার্য। তাদের পরিচিত পরিবেশে রাখুন এবং শান্ত থাকার জন্য তাদের সাথে সময় কাটান।
তারা যেন কোনো অপরিচিত শব্দ বা দৃশ্য দ্বারা ভয় না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান নির্বাচন করুন, যেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারে।
যদি আপনি আপনার বাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হন, তবে কখনোই আপনার পোষা প্রাণীটিকে একা ফেলে যাবেন না। তাদের সাথে নিয়ে যান অথবা কোনো নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের জন্য ব্যবস্থা করুন।
কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের বেঁধে রেখে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে তাদের জীবনহানির ঝুঁকি থাকে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন এবং সরকারি সংস্থা রয়েছে, যারা দুর্যোগের সময় পশুদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে। আপনার এলাকার পশু উদ্ধারকারী দলের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তা নিতে পারেন।
আপনার পোষা প্রাণীর সুরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া একটি দায়িত্ব। আপনার সামান্য প্রস্তুতি তাদের জীবন বাঁচাতে পারে এবং দুর্যোগের সময় তাদের মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতে পারে।
আসুন, আমরা সবাই আমাদের পোষা প্রাণীগুলোর জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ি।
তথ্য সূত্র: