অ্যান্ড্রুকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন রাজা চার্লস: নতুন ঠিকানা কোথায়?

ব্রিটেনের রাজপরিবারে ফের বিতর্ক। রাজা তৃতীয় চার্লস তার ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে উইন্ডসর ক্যাসেলের রয়েল লজ থেকে সরিয়ে নিতে চলেছেন।

তাকে পাঠানো হচ্ছে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটে, যা রাজার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এই পদক্ষেপকে অনেকেই দেখছেন এক প্রকার নির্বাসন হিসেবে।

যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই মূলত এই সিদ্ধান্ত।

প্রিন্স অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত। আমেরিকান ফাইনান্সার জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

এপস্টাইনের বিরুদ্ধে ছিল শিশু পাচারের অভিযোগ। যদিও প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এই ঘটনার জেরে ব্রিটিশ জনসাধারণের মধ্যে রাজপরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা রাজার জন্য উদ্বেগের কারণ।

রয়েল লজে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বাস ছিল, যা উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছে অবস্থিত। ২০০৩ সালে তিনি এই বাড়িটি সংস্কারের জন্য প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছিলেন।

এরপর থেকে তিনি সেখানে বসবাস করছিলেন। তবে এবার তাকে স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটে রাজার অন্য একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

স্যান্ড্রিংহাম এস্টেট কোনো সরকারি বাসভবন নয়। এটি রাজার ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

এখানে স্থানান্তরের ফলে অ্যান্ড্রুর জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে। রাজা চার্লস অ্যান্ড্রুকে তার নতুন বাসস্থানের খরচ দেবেন এবং তার জীবন ধারণের জন্য বার্ষিক ভাতা দেবেন, যা রাজকোষের উপর কোনো বোঝা ফেলবে না।

স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটটি বেশ পুরনো। ১৮৬২ সালে রানী ভিক্টোরিয়া তার পুত্র এডওয়ার্ডের জন্য এটি কিনেছিলেন।

এরপর থেকে এটি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের কাছে খুবই প্রিয় একটি স্থান।

এখানে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি রয়েছে, যেখানে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।

এর মধ্যে একটি হলো ‘উড ফার্ম’, যেখানে কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয় এবং প্রিন্স ফিলিপ থাকতে পছন্দ করতেন। এছাড়াও ‘পার্ক হাউস’ এবং ‘ইয়র্ক কটেজ’-এর মতো বাড়িগুলোও এই তালিকায় রয়েছে।

তবে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি এখনই সম্পন্ন হবে না। ক্রিসমাসের ছুটির পরেই সম্ভবত এই কাজটি করা হবে।

কারণ রাজপরিবার চায়, ক্রিসমাসের সময় প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে সবার থেকে দূরে রাখা হোক।

এই ঘটনার মাধ্যমে রাজা চার্লস সম্ভবত রাজপরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। তিনি চান, ভবিষ্যতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় যেন রাজপরিবারের ভাবমূর্তিকে আর কলঙ্কিত করতে না পারে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *