প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে তার নিজের দাতব্য সংস্থার প্রধানের ‘ব্যাপকভাবে’ হয়রানির অভিযোগ।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি’র বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি যে দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই সেন্টেবেল-এর চেয়ার, ড. সোফি চান্দাউকা, প্রিন্স হ্যারির বিরুদ্ধে ‘ব্যাপকভাবে হয়রানি ও নিপীড়ন’-এর অভিযোগ এনেছেন। খবর অনুযায়ী, এই অভিযোগের পরেই সংস্থাটির কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
লেসোথোর শিশুদের সাহায্যার্থে এই সংস্থাটি মূলত এইচআইভি/এইডস (HIV/AIDS)-এর শিকার শিশুদের নিয়ে কাজ করে। ড. চান্দাউকা অভিযোগ করেছেন, প্রিন্স হ্যারি মঙ্গলবার তাকে বা সংস্থার কর্মকর্তাদের কিছু না জানিয়ে বাইরের জগতে একটি ‘ক্ষতিকর’ সংবাদ প্রকাশ করেন। তিনি এই ঘটনাকে হয়রানি ও অত্যাচারের দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, প্রিন্স হ্যারি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা, লেসোথোর প্রিন্স সিইসো-ও পদত্যাগ করেছেন। তারা বোর্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার কারণ হিসেবে জানা যায়, সংস্থার তহবিল সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে ড. চান্দাউকার সঙ্গে তাদের মতবিরোধ হয়েছিল। প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স সিইসো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের সম্পর্ক ‘মেরামতের অযোগ্যভাবে ভেঙে গিয়েছিল’, যা একটি ‘অচল পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে।
২০২০ সালে সেন্টেবেলের একটি নৈশভোজে প্রিন্স হ্যারি বলেছিলেন, এই সংস্থাটি তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং জীবনের সঠিক পথ দেখিয়েছে। তিনি এই সংস্থার কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হ্যারির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান