যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে হ্যারির গোপন সফর: হতবাক বিশ্ব!

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গোপনে গিয়ে সেখানকার যুদ্ধাহত মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। সম্প্রতি তিনি লভিভে ‘সুপারহিউম্যান্স সেন্টার’ নামে একটি বিশেষ ক্লিনিকে যান, যেখানে সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো অঞ্চলে হ্যারির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রিন্স হ্যারির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ডিউক অব সাসেক্স আহত সৈন্যদের সাহায্য করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাহত সৈন্যদের প্রতি সমর্থন জানানো।

‘সুপারহিউম্যান্স সেন্টার’-এ তিনি চিকিৎসা পরিষেবাগুলো খতিয়ে দেখেন। এই কেন্দ্রে বিনামূল্যে রোগীদের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ, অস্ত্রোপচার এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা প্রদান করা হয়।

প্রিন্স হ্যারি নিজে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর থেকেই তিনি আহত সৈনিকদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

২০১৪ সালে তিনি ‘ইনভিকটাস গেমস’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে আহত সৈনিকদের খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফিরতে উৎসাহিত করা হয়। হ্যারির সঙ্গে এই সফরে ‘ইনভিকটাস গেমস ফাউন্ডেশন’-এর বেশ কয়েকজন সদস্য এবং কয়েকজন অভিজ্ঞ সেনা সদস্যও ছিলেন।

সাসেক্সের ডিউক-এর ইউক্রেন সফরটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে করা। এমনকি তিনি দেশ ছাড়ার পরেই খবরটি প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর প্রিন্স হ্যারির চাচী, এডিনবার্গের ডাচেস সোফিও ইউক্রেন সফর করেন।

প্রিন্স হ্যারির এই সফরের আগে, তিনি লন্ডনের একটি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

এর আগে ২০২০ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে হ্যারি ও তাঁর পরিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সমর্থন আগেও দেখা গেছে। ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন।

হ্যারি বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামও গত মাসে এস্তোনিয়ায় ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *