উইলিয়ামের ফুটবল উন্মাদনা: স্কটল্যান্ডে স্যুট-টাই পরে খেলা!

বাংলার যুবকদের মধ্যে খেলাধুলার উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। ফুটবল হোক বা ক্রিকেট, মাঠ ভর্তি দর্শকের চিৎকারে প্রায়ই মুখরিত থাকে আমাদের চারপাশ।

এবার, খেলাধুলার মাধ্যমে কীভাবে একটি সমাজের উন্নতি ঘটানো যায়, সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে স্কটল্যান্ডে গিয়েছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম।

গত ২১শে মে, ওয়েলসের এই যুবরাজ হঠাৎ করেই এডিনবার্গ এর একটি অংশে, লিথ কমিউনিটি সেন্টারে যান। উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার একটি ফুটবল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখা।

এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো, খেলাধুলার মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করা। জানা যায়, প্রিন্স উইলিয়াম সেখানে উপস্থিত সকলের সাথে মিশে যান এবং ফুটবল খেলায়ও অংশ নেন।

প্রিন্স উইলিয়াম, যিনি স্কটল্যান্ডে ডিউক অফ রথেসে উপাধি ব্যবহার করেন, সেখানকার ‘স্ট্রিট সকার স্কটল্যান্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ডিউকের সাথে কথা বলেন। ডিউক এর ‘হোমওয়ার্ডস’ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের সাহায্য করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

এই সফরে প্রিন্স উইলিয়ামকে জানানো হয়, কিভাবে নতুন এই অংশীদারিত্ব লিথের পিছিয়ে পড়া যুবক এবং বয়স্কদের জীবনকে উন্নত করবে।

প্রিন্স উইলিয়ামের দাতব্য সংস্থা ‘রয়্যাল ফাউন্ডেশন’ এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়ে লিথ কমিউনিটি সেন্টারকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ফুটবলের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মাদকাসক্তি, গৃহহীনতা এবং একাকীত্ব দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খেলাধুলার মাধ্যমে লিথ এলাকার মানুষের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

ফুটবল ভালোবাসেন প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি শুধু ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আনুষ্ঠানিক পদে আসীন নন, বরং অ্যাস্টন ভিলা নামক একটি প্রিমিয়ার লীগ দলের খেলাও নিয়মিত উপভোগ করেন।

সম্প্রতি, তিনি তার বড় ছেলে ১১ বছর বয়সী প্রিন্স জর্জকে নিয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে গিয়েছিলেন এবং খেলা উপভোগ করেছেন।

প্রিন্স উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী, প্রিন্সেস কেট-কে ২০২৩ সালের টাইম ম্যাগাজিনের ‘১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি’র তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সমাজসেবামূলক কাজ এবং সামাজিক সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগের কারণে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

স্কটল্যান্ড সফরের আগে, তাঁরা বাকিংহাম প্যালেসে একটি বাগান পার্টির আয়োজন করেছিলেন। এর পরের দিন, তাঁরা একটি নৌবাহিনীর জাহাজের নামকরণেও অংশ নেন।

আমাদের দেশেও, খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব ও স্থানীয় পর্যায়ে খেলাধুলার আয়োজন করে যুবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে, যা একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *