রয়্যাল ভুল! প্রিন্সেস বিয়াট্রিসের স্বামীর নামে গুরুতর ভুল!

যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্সেস বিট্রিসের স্বামী এডোয়ার্ডো ম্যাপেলি মজি-র নামের একটি ভুল নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। রয়েল অ্যাসকট ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার একটি আনুষ্ঠানিক তালিকায় তার নামের বানান ভুল ছিল, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে এই ঘটনার বাইরে প্রিন্সেস বিট্রিসের ব্যক্তিগত জীবন এবং রাজকীয় দায়িত্বের একটি চিত্রও উঠে এসেছে।

রয়েল অ্যাসকট একটি ঐতিহ্যপূর্ণ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা, যেখানে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের প্রায়ই দেখা যায়।

গত ১৯শে জুনের একটি আনুষ্ঠানিক তালিকায় প্রিন্সেস বিট্রিসের স্বামীর নাম লেখার সময় ‘এদুয়ার্দো ম্যাপেলো মজি’ লেখা হয়, যেখানে তার নামের সঠিক বানান ছিল ‘এডোয়ার্ডো ম্যাপেলি মজি’। যদিও এই ভুলের কারণে ছোটখাটো আলোচনা হয়েছে, তবে রাজপরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটির জৌলুস ছিল চোখে পড়ার মতো।

প্রিন্সেস বিট্রিস এবং তার স্বামী, দুজনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তারা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন এবং ক্যামেরাবন্দী হন। তাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সকলের নজর কাড়ে।

এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে এথেনা হলো তাদের কনিষ্ঠ কন্যা। এথেনার জন্মের পর প্রিন্সেস বিট্রিস রাজকীয় জীবনযাত্রায় ধীরে ধীরে ফিরে এসেছেন।

প্রিন্সেস বিট্রিসের জীবনে এই সময়ে এসেছে কিছু পরিবর্তন। তার কন্যা এথেনার অকাল জন্ম নিয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, তাদের পরিবার এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছে।

প্রিন্সেস বিট্রিস এবং এডোয়ার্ডো-র পরিবারে আরও সদস্য রয়েছে। তাদের একটি কন্যা সিয়েনা এবং এডোয়ার্ডোর আগের সম্পর্কের সূত্রে ক্রিস্টোফার উলফ নামে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।

প্রিন্সেস বিট্রিস রাজপরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি বর্তমানে তার চাচার অনুপস্থিতিতে বা অসুস্থতাকালে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য কাউন্সিলার অফ স্টেট (রাজ্যের উপদেষ্টা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর মাধ্যমে তিনি দেশের শাসনকার্যেও ভূমিকা রাখেন।

প্রিন্সেস বিট্রিস এবং এডোয়ার্ডো-র কন্যাদের এখনো পর্যন্ত কোনো রাজকীয় উপাধি নেই।

তবে তাদের বাবা, এডোয়ার্ডো, ইতালীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তারা ইতালীয় অভিজাত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এডোয়ার্ডো তার পরিবারের ঐতিহ্যবাহী ভিলা ম্যাপেলি মজি-র উত্তরাধিকারী।

বিয়ের পর প্রিন্সেস বিট্রিস ইতালীয় ‘কন্টেসা’ (কাউন্টess) এবং ‘নোবিলে ডোনা’ (Noble Woman) উপাধি লাভ করেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই ঘটনা প্রিন্সেস বিট্রিস এবং তার পরিবারের একটি দিক তুলে ধরে, যেখানে রাজকীয় দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্কের গুরুত্বও ফুটে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *