শিরোনাম: পদোন্নতির অনুষ্ঠানে বান্ধবীকে না ডাকার ফল, সম্পর্কে ফাটল?
সম্প্রতি, এক ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি উদযাপনের রাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার বান্ধবীকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি।
এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে তার বান্ধবী হয়তো পুরো অনুষ্ঠানটিকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করবেন, যা তার সাফল্যের উদযাপনকে ম্লান করে দেবে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই ব্যক্তি তার কর্মজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত হন। এই উপলক্ষে তার সহকর্মীরা একটি ছোটখাটো নৈশভোজের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি তার ৩৪ বছর বয়সী বান্ধবীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানাননি।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, এর আগে যখন তিনি কর্মক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তখন তার বান্ধবী পুরো সময় ধরে নিজের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বলতে শুরু করেন, যা কার্যত তার নিজের অর্জনের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে বান্ধবীকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি বান্ধবীকে জানান, এটি কেবল সহকর্মীদের নিয়ে একটি সাধারণ অনুষ্ঠান।
কিন্তু পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবিতে তার বান্ধবী আসল ঘটনা জানতে পারেন। এরপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অভিযোগ করেন যে তাকে “লুকিয়ে রাখা” হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে তিনি অপমানিত হয়েছেন এবং নিজেকে “আলমারিতে রাখা একটি ট্রফির” মতো অনুভব করছেন।
যখন ওই ব্যক্তি তার এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন, তখন তার বান্ধবী তাকে “অগভীর ও নিরাপত্তাহীন” বলে মন্তব্য করেন।
ঘটনার পর ওই ব্যক্তি জানান, তিনি খারাপ অনুভব করছেন, তবে একইসঙ্গে তার মনে হয়েছে, এমন একটি রাত তার প্রাপ্য ছিল যেখানে তাকে অন্যের “অহং” নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বিবরণ শেয়ার হওয়ার পর অনেকেই তাদের মতামত জানিয়েছেন।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন, এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত, যার সঙ্গে নিজের ভালো সময়গুলোও ভাগ করে নেওয়া যায় না।
মনোবিজ্ঞান বিষয়ক পরামর্শদাতারা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের আচরণে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
বর্তমানে, এই ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের প্রতি সম্মান কতখানি জরুরি, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করছে এই ঘটনা।
তথ্য সূত্র: পিপল
