অবিশ্বাস্য! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি পিএসজি ও ইন্টার!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজি বনাম ইন্টার মিলান? ফুটবল বিশ্ব অবাক

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক দারুণ চমক নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। এবারের আসরে ফেভারিট দলগুলোর দৌড় থামিয়ে ফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবং ইন্টার মিলান।

ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের ফাইনালের মঞ্চে এমন অপ্রত্যাশিত দৃশ্য আগে খুব একটা দেখা যায়নি।

আসলে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলগুলো সেমিফাইনালেই বিদায় নিয়েছে।

এমনকি, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোও ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে পিএসজি ও ইন্টার মিলানের ফাইনাল খেলাটা ফুটবল বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আগামী ৩১শে মে জার্মানির মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরিনাতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচটি।

এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের জন্য একটি পরিচিত ভেন্যু। এর আগে, এই স্টেডিয়ামে ২০১২ সালে চেলসি এবং বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ফাইনালের আগে দর্শকদের জন্য পারফর্ম করবে জনপ্রিয় মার্কিন ব্যান্ড লিংকিন পার্ক।

ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, এই ফাইনাল একদিকে যেমন অপ্রত্যাশিত, তেমনই উভয় দলের জন্যই বিশাল সুযোগ নিয়ে এসেছে।

চ্যাম্পিয়ন দল প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি) বেশি প্রাইজমানি পেতে পারে। শুধু তাই নয়, বিজয়ী দল ক্লাব বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টেও খেলার সুযোগ পাবে, যেখানে তারা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা রাখে।

যদি আমরা দল দুটির দিকে তাকাই, তাহলে দেখব, পিএসজি’র উত্থানটা অপেক্ষাকৃত নতুন।

২০১৩ সালে কাতারের একটি বিনিয়োগ সংস্থা ক্লাবটি কিনে নেওয়ার পর তারা বিপুল অর্থ খরচ করে দলটিকে শক্তিশালী করে। ঘরোয়া লিগে তারা নিয়মিত সাফল্য পেলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের কাঙ্ক্ষিত ট্রফি এখনো অধরা।

কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার এবং মেসির মতো তারকা খেলোয়াড়দের বিদায়ের পর দলটি এখন তরুণ এবং প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের উপর বেশি নির্ভরশীল।

অন্যদিকে, ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান তাদের ইতিহাসে বেশ কয়েকবার ইউরোপ সেরা হয়েছে।

১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে তারা টানা দুবার এবং সবশেষ ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে।

এবার ফাইনালে আসার পথে তারা বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দলকে পরাজিত করেছে, যা তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ।

তবে, ইন্টার মিলানের আর্থিক অবস্থা পিএসজির মতো স্থিতিশীল নয়।

গত বছর একটি মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা ক্লাবটির মালিকানা গ্রহণ করে। অতীতে ক্লাবের আর্থিক সংকট ছিল, যে কারণে মালিকানা বদল হয়।

ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ফাইনাল একদিকে যেমন অপ্রত্যাশিত, তেমনই উভয় দলের জন্যই বিশাল সুযোগ নিয়ে এসেছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের।

এখন দেখার বিষয়, কোন দল মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা দিতে পারে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি ঘরে তোলে।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *