প্রকাশ্যে ট্রাম্পের রক্তাক্ত ছবি! পুতিনের বিশেষ উপহার?

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপহার দেওয়া রাশিয়ার একটি বিশেষ চিত্রকর্ম নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা চলছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাকি ব্যক্তিগতভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি প্রতিকৃতি উপহার দিয়েছেন, যা তৈরি করেছেন রাশিয়ার খ্যাতনামা শিল্পী নিকাস সাফ্রোনভ।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

মার্চ মাসে পুতিন এই চিত্রকর্মটি ট্রাম্পের কাছে পাঠান।

ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এক সাক্ষাৎকারে জানান, চিত্রকর্মটি খুবই সুন্দর এবং রাশিয়ার একজন শীর্ষস্থানীয় শিল্পীর কাজ।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প ছবিটি দেখে বেশ অভিভূত হয়েছিলেন।

তবে এতদিন পর্যন্ত ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে শিল্পী নিকাস সাফ্রোনভ জানিয়েছেন, ছবিটি তৈরি করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্পের জীবনের ওপর হওয়া একটি ব্যর্থ হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে তুলে ধরা।

পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে একটি সমাবেশে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।

ছবিতে দেখা যায়, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডান হাত উঁচু করে আছেন, তাঁর মুখে তখনও রক্তের ছিটা।

শিল্পী জানান, তিনি ট্রাম্পের সাহস ও দৃঢ়তাকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।

তাঁর কথায়, “আমি তাঁর রক্ত, ক্ষত এবং জীবন বাঁচানোর জন্য তাঁর সাহসিকতা দেখাতে চেয়েছি।

তিনি ভেঙে পড়েননি বা ভীত হননি, বরং আমেরিকার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে হাত তুলে ধরেছিলেন।”

সাফ্রোনভ এর আগেও বিভিন্ন বিশ্বনেতাদের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন।

এর মধ্যে পোপ ফ্রান্সিস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রতিকৃতি তৈরির প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রথমে কিছু লোক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ট্রাম্পকে তিনি যেভাবে দেখেন, সেভাবে একটি ছবি আঁকতে বলেন।

শিল্পী শুরুতে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

তবে তিনি ধারণা করেছিলেন, এর পেছনে ক্রেমলিন জড়িত থাকতে পারে।

সাফ্রোনভ আরও বলেন, “আমি যখন ছবিটি আঁকা শুরু করি, তখন মনে হয়েছিল, এটি আমাদের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারে।

তাই আমি কোনো পারিশ্রমিক নিতে রাজি হইনি।”

পরবর্তীতে পুতিন নাকি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, ট্রাম্পের এই প্রতিকৃতি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে, হোয়াইট হাউসের গ্র্যান্ড ফয়েরে এই ধরনের একটি ছবি টাঙানো রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পুতিন কর্তৃক প্রদত্ত ছবিটিও অনেকটা একই রকম।

ট্রাম্পের এই প্রতিকৃতিটি তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারের সময় শক্তি ও সাহসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *