চীনের রাজধানী বেজিং-এ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সামরিক কুচকাওয়াজে যোগদানের পরেই এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।
বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে, দুই নেতাকে একই গাড়িতে আলোচনা স্থলে যেতে দেখা যায়। ক্রেমলিন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার সীমান্ত রক্ষায় উত্তর কোরীয় সৈন্যদের ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে উত্তর কোরিয়া প্রায় ১৫,০০০ সৈন্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম, যেমন— ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি সরবরাহ করেছে দেশটি। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোয় কিম জং উনকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
বৈঠকে কিম জং উন বলেন, মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে এই সহযোগিতা আরও জোরদার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার জনগণের জন্য তিনি যা করতে পারেন, তা করতে প্রস্তুত। যদি আরও কিছু করার থাকে, তবে তিনি তা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করবেন।
এই বৈঠকটি ছিল কিম জং উনের জন্য একটি বিশেষ ঘটনা। কারণ, গত ১৪ বছরে এই প্রথম তিনি কোনো বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। একইসাথে, এই প্রথম কিম, পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একই স্থানে মিলিত হলেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, কিম জং উন সম্ভবত চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করতে পারেন। এমনকি, এই তিন নেতার মধ্যে কোনো ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে, এই বিষয়ে কোনো পক্ষই নিশ্চিত খবর জানায়নি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস