ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য কাতার দিচ্ছে বিলাসবহুল বিমান? তোলপাড়!

কাতারের রাজপরিবার সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ব্যবহারের জন্য একটি বিলাসবহুল বিমান দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। এই খবরটি এখন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, কাতার সরকার একটি বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান, যা সাধারণত বিশাল আকারের এবং খুবই আরামদায়ক, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে পারে। এটিকে বর্তমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর অস্থায়ী বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, কাতার সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে, কাতারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি কোনো উপহার নয়, বরং ‘অস্থায়ী ব্যবহারের’ জন্য বিমানটি হস্তান্তরের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সম্ভবত এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে আগ্রহী।

ট্রাম্পের মতে, এটি একটি ‘উপহার’, এবং তিনি এটিকে বিনামূল্যে গ্রহণ করতে চান।

এই বিমানের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৪শ কোটি টাকার সমান। যদি এই প্রস্তাব কার্যকর হয়, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পাওয়া সবচেয়ে মূল্যবান উপহারগুলোর মধ্যে একটি হবে।

ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাবের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, কোনো বিদেশি সরকারের কাছ থেকে এত মূল্যবান একটি উপহার গ্রহণ করা সঠিক নয়।

তাঁদের আশঙ্কা, এর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এটি সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থী।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কোনো উপহার সবসময়ই বিদ্যমান আইন মেনেই গ্রহণ করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করা কাতার-মালিকানাধীন ৭৪৭-৮ বিমানটি পরিদর্শন করেছিলেন। সেসময় হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আধুনিক এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান কীভাবে তৈরি করা হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতেই তাঁর এই পরিদর্শন।

শোনা যাচ্ছে, মেয়াদ শেষে বিমানটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে তৈরি একটি সংগ্রহশালায় হস্তান্তর করা হতে পারে।

ট্রাম্প বর্তমানে উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি সফরে যাচ্ছেন। তবে, কাতার সফরকালে এই বিমান হস্তান্তর বা গ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই। সব মিলিয়ে, বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং এর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *