ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য ফ্লোরা ভesterবার্গ, যিনি প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পর্কিত, সম্প্রতি ৩০ বছর বয়সে অটিজম আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন, যেখানে তিনি এই বিষয়ে তার অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেছেন।
ফ্লোরা, প্রিন্সেস আলেকজান্দ্রার নাতনী এবং রানীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়, জানান যে শৈশব থেকেই তিনি স্নায়ু বৈচিত্র্যের কারণে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তবে, সম্প্রতি পরীক্ষার মাধ্যমে অটিজম সনাক্ত হওয়ার পর তিনি এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন এবং এর ইতিবাচক দিকগুলোও উপলব্ধি করতে পারছেন।
তিনি বলেন, “এই রোগ নির্ণয়ের ফলে আমি আমার অভিজ্ঞতা ও সংবেদনশীলতাগুলো একটি কাঠামোর মধ্যে ফেলে বুঝতে পারছি এবং এতে আমি স্বস্তি অনুভব করছি।”
বর্তমানে তিনি ‘দ্য কার্তোল্ড ইনস্টিটিউট অফ আর্ট’-এ পিএইচডি করছেন। ফ্লোরা উল্লেখ করেন যে, অটিজম সচেতনতা মাসের সময় তিনি এই বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছেন। তিনি বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি’র ‘নাও আই নো’ ক্যাম্পেইনের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে এমন নারী ও অন্যদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে যাদের জীবনে দেরিতে অটিজম ধরা পড়েছে।
ফ্লোরা মনে করেন, এই ধরনের প্রচারণা সমাজে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করে এবং অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়।
ডাঃ দিমিত্রিওস পাচোসের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার পর ফ্লোরার এই রোগ নির্ণয় করা হয়। তিনি জানান, সমাজে এখনো অনেক নারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছর বয়সের মধ্যে অটিজম সনাক্ত করা যায় না। ফ্লোরা আশা করেন, তার এই অভিজ্ঞতা অন্যদের সাহায্য করবে এবং অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, অটিজম আক্রান্ত নারীদের নিজেদের প্রয়োজনগুলো তুলে ধরতে এবং সমাজে তাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে উৎসাহিত করা উচিত।
ফ্লোরা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে সুইডিশ ফাইনান্সার ও প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় টিমোথি ভesterবার্গের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানে রাজ পরিবারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অটিজম একটি জটিল বিষয়, এবং দেরিতে রোগ সনাক্তকরণের কারণে অনেক নারী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। ফ্লোরার এই অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য সহায়ক হবে এবং অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের সমাজে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল