শতকের সেরা কুইয়ার চলচ্চিত্র: ভালোবাসার গল্প আর সাহসিকতার উদযাপন!

বিগত দুই দশকে বিশ্বজুড়ে নির্মিত হয়েছে বহু সিনেমা, যা ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের মানুষের জীবনযাত্রা, প্রেম, এবং আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প বলে। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, এই সময়ের সেরা ২৫টি ‘কুইয়ার ফিল্ম’-এর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এই সিনেমাগুলো শুধু গল্প বলার ধরন বা বিষয়বস্তুর কারণেই নয়, বরং সমাজের চোখে প্রান্তিক মানুষদের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তালিকায় স্থান পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সেলিন সিয়াম্মা পরিচালিত ২০১৯ সালের ফরাসি চলচ্চিত্র ‘পোট্রেট অফ এ লেডি অন ফায়ার’। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে এক শিল্পী ও তার মডেলের মধ্যে গড়ে ওঠা ভালোবাসার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ছবিতে নারীর প্রতি নারীর ভালোবাসার গভীরতা ও শিল্পসম্মত উপস্থাপনা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

২০১৮ সালের পর্তুগিজ সিনেমা ‘ডায়ামান্তিনো’ -এর গল্প এক ফুটবল তারকাকে নিয়ে, যিনি মাঠে গোল করার পর বিশাল পেকিনিজ কুকুরের বিভ্রম দেখেন। এই সিনেমাটি উদ্ভট দৃশ্য এবং কাহিনীর মাধ্যমে ভিন্নতা ফুটিয়ে তুলেছে।

এছাড়া, রূপান্তরকামীদের নিয়ে নির্মিত ছবিগুলোও এই তালিকায় বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লেভান আকিনের ২০২৩ সালের সিনেমা ‘ক্রসিং’-এ একজন তরুণ, একজন রূপান্তরকামী আইনজীবী এবং এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের গল্প বলা হয়েছে।

তারা সবাই মিলে ইস্তাম্বুলের কুইয়ার সম্প্রদায়ের জীবন ফুটিয়ে তোলেন।

তালিকায় আরো আছে ২০১৪ সালের ‘দ্য ডিউক অফ বারগান্ডি’ সিনেমাটি। পিটার স্ট্রিকল্যান্ড পরিচালিত এই সিনেমায় একটি লেসবিয়ান সম্পর্কের গল্প দেখানো হয়েছে, যেখানে সম্মতি, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ক্ষমতার সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ধরনের সিনেমা, যেমন- কমেডি, ড্রামা, এমনকি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রও এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।

এই সিনেমাগুলো শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজের চোখে প্রান্তিক মানুষের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে এবং তাদের জীবন ও সংগ্রামের কথা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়।

এই সিনেমাগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজের মানুষের কাছে কুইয়ার সিনেমাকে আরো বেশি পরিচিত করে তুলেছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *