পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে থেকেও অন্য নারীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ!

দীর্ঘদিনের সম্পর্কে আবদ্ধ একজন নারী, যিনি তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে ভিন্ন ধরনের যৌন অভিজ্ঞতা লাভের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন। ত্রিশোর্ধ্ব এই নারীর বয়ষ যখন একুশ, তখন থেকে তিনি একই পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন।

তবে কিছুদিনের বিচ্ছেদের সময় তিনি নারী ও রূপান্তরকামীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হন। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তাঁকে নতুনভাবে নিজের যৌনতা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

বর্তমানে তিনি তাঁর সঙ্গীর কাছে ফিরে এসেছেন এবং তাঁদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গীকে তাঁর এই নতুন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এবং একটি “উন্মুক্ত সম্পর্ক” (open relationship) -এর ধারণা ব্যক্ত করেছেন।

তাঁর সঙ্গী এতে কিছুটা সময় চেয়েছেন। তিনি হয়তো ভবিষ্যতে তাঁদের একসঙ্গে অন্য কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হতে পারেন, কিন্তু আপাতত অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি নন। তিনি চান না তাঁর সঙ্গিনী অন্য কারও সঙ্গে মিলিত হন, এমনটা জানতে বা সন্দেহ করতে।

এই নারী তাঁর সঙ্গীকে ভালোবাসেন এবং তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক উপভোগ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর সঙ্গীই তাঁর জীবনসঙ্গী এবং তিনি তাঁদের একসঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু তাঁর মনে অন্য ধরনের যৌন সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা প্রবল।

তাঁর মতে, এখনই এই বিষয়ে বেশি কথা বলাটা হয়তো স্বার্থপরতা হবে। আবার, তিনি তাঁর ভেতরের এই গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাটিকে অস্বীকার করতেও পারছেন না।

এই পরিস্থিতিতে তিনি কী করতে পারেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। নিজের সঙ্গীর অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

যদিও এই নারীর আকাঙ্ক্ষাগুলো খুবই স্বাভাবিক, তাঁর সঙ্গীর মানসিকতার কথা বিবেচনা করে ধৈর্য ধরতে হবে।

এই ক্ষেত্রে, তাঁদের একসঙ্গে বসে খোলামেলাভাবে কথা বলাটা জরুরি। তাঁর সঙ্গীর কাছে নিজের অনুভূতির কথা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে তাঁরা তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া, আলোচনা এবং ধৈর্য খুবই জরুরি। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উভয় সঙ্গীরই মানসিক শান্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *