রাচেল রে: দারিদ্র্যের দিনগুলো স্মরণ করে আবেগাপ্লুত!

বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী র‍্যাচেল রে-এর জীবনের এক কঠিন অধ্যায় ছিল যখন তিনি নিউ ইয়র্কে তরুণী বয়সে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সম্প্রতি, তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা এবং সেই কঠিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন, যা তার জীবন এবং কর্মজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।

র‍্যাচেল জানান, একসময় তিনি এতটাই দরিদ্র ছিলেন যে, সপ্তাহের খাবার খরচ চালানোর জন্য তার কাছে মাত্র ৪০ ডলার ছিল। এই সামান্য অর্থ দিয়েই তাকে পুরো সপ্তাহের খাদ্য চাহিদা মেটাতে হতো।

কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে টিকে থাকতে হয়, সে বিষয়ে তার মা তাকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছিলেন। র‍্যাচেল বলেন, তার মা শুধু রান্নার কৌশলই শেখাননি, বরং সামান্য উপকরণ দিয়ে কীভাবে সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়, সেটিও শিখিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুকনো শিম, কিছু সবজি এবং সামান্য প্রোটিন-এর ওপর নির্ভর করে দিন কাটাতে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা তাকে জীবনের পথে অনেক সাহায্য করেছে এবং তার জীবনকে নতুন দিশা দিয়েছে।

র‍্যাচেল তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই শিক্ষা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

র‍্যাচেল তার বোন মারিয়া বেটারের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের স্মৃতিও তুলে ধরেন। তারা দু’জনে মিলে যখন একটি গাজরের কেক তৈরি করছিলেন, সেই সময়ের খুনসুটিগুলো এখনো তার মনে গেঁথে আছে।

র‍্যাচেলের রান্নার সরঞ্জাম ব্যবহার না করার জন্য বোনকে মজা করে তিনি বলেছিলেন, “কেন নিজের জিনিস ব্যবহার না করে অন্য কিছু ব্যবহার করলে?”

র‍্যাচেলের এই গল্পটি আমাদের দেখায় যে, প্রতিকূলতা জয় করে কীভাবে সাফল্যের শিখরে ওঠা যায়। তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রমই তাকে এই জায়গায় এনেছে।

র‍্যাচেলের জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, যা প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে এবং সঠিক পথে চললে যেকোনো বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *