কেনিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা’র প্রয়াণ, বয়স ছিল ৮০ বছর।
গতকাল বুধবার, খবরটি পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। রয়টার্স-এর বরাত দিয়ে জানা যায়, ওডিঙ্গা’র অফিসের একটি সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, ভারতের সংবাদপত্র ‘মাথুরুভূমি’ জানিয়েছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের কোচি শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, যেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
রাইলা ওডিঙ্গা ছিলেন কেনিয়ার একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দেশের গণতন্ত্রের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যদিও তিনি পাঁচবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন, তবুও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার ছিল অবিচল।
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ওডিঙ্গা’র সংগ্রাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৯১ সালে কেনিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে।
এছাড়াও, ২০১০ সালের নতুন সংবিধান প্রণয়নেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছিল।
২০০৭ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর দেশজুড়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই সময়ও ওডিঙ্গা’র নেতৃত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে হওয়া সেই বিক্ষোভে প্রায় ১,৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন বহু মানুষ।
রাইলা ওডিঙ্গা’র প্রয়াণে কেনিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গভীর শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে, এবং তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে।
এই খবরটি এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশিত হচ্ছে। ঘটনার আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা জানানো হবে।
তথ্য সূত্র: রয়টার্স, মাথুরুভূমি