দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমেরিকা সফরকালে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের উপর “গণহত্যা” বিষয়ক একটি বিতর্কিত বিষয় বেশ আলোচনায় আসে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রামাপোসার বৈঠকের সময়ে এই বিষয়টি বিশেষভাবে সামনে আসে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আফ্রিকার এই অংশে বসবাসকারী ডাচ বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের (আফ্রিকানর) উপর সহিংসতার অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক দেখা যায়। কিছু গোষ্ঠী এই সহিংসতাকে “গণহত্যা” হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে, যদিও এই দাবিটি বিতর্কিত এবং অনেকেই এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য এবং এর পরবর্তী সময়ে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যা এই বিতর্কের মূল কারণ।
ট্রাম্পের সময়ে এই “গণহত্যা” বিষয়ক দাবিগুলো গুরুত্ব পাওয়ার কারণ ছিল। অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্প এইসব বিষয়কে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চেয়েছেন।
তিনি শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন লাভের জন্য এই বিতর্কিত বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন। এই সময়কালে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়, তবে “গণহত্যা” বিষয়ক বিতর্ক সম্পর্কের উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।
তবে, “গণহত্যা” বিষয়ক বিতর্ক আলোচনার মাঝে আসায় অনেক সময় তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে উন্নত দেশগুলোর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেই বিষয়েও নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়।
বিশেষ করে, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটি দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিভাবে প্রভাব ফেলে, তা এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা