মার্কিন সিনেটর র্যান্ড পল এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যে সম্প্রতি একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রিপাবলিকান দলের এই সিনেটরকে তার পরিবারসহ বার্ষিক হোয়াইট হাউস বনভোজনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি নিয়ে মতবিরোধের জেরেই এমনটা হয়েছে।
সিনেটর পল মনে করেন, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এবং জাতীয় ঋণের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তাঁর আপত্তির কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি হোয়াইট হাউসের এই আচরণকে ‘অপরিণত’ এবং ‘ছোট মনের পরিচয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তাঁর মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্ভবত ফলপ্রসূ হবে না, বরং বিপরীত ফল বয়ে আনবে।
এই ঘটনার সূত্র ধরে র্যান্ড পল বলেন, তাঁর পরিবার – যার মধ্যে তাঁর ছয় মাস বয়সী নাতিও ছিল – বৃহস্পতিবারের এই দ্বিদলীয় বনভোজনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই তাঁদের আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়।
সিনেটর জানান, তিনি এই বিষয়ে হতাশ এবং ট্রাম্পের প্রতি তাঁর ‘আস্থা’ কমে গেছে।
সিনেটর পলের মতে, এই ঘটনার পেছনে সরাসরি প্রেসিডেন্টের হাত আছে কিনা, নাকি কিছু জুনিয়র স্টাফের চক্রান্ত রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি হোয়াইট হাউসের প্রভাবশালী উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারেরও সমালোচনা করেন।
পল বলেন, এমন কিছু লোক আছেন, যারা সংবিধানের কিছু অংশ বাতিল করার বিষয়েও কথা বলতে দ্বিধা করেন না।
সিনেটর পল আরও জানান, তিনি এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জো বাইডেনের আমলে হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এবং কোনো সমস্যা হয়নি।
তাঁর মতে, হোয়াইট হাউস ‘মার্কিন জনগণের’, এবং সেখানে সবারই আসা-যাওয়ার অধিকার আছে।
এই ঘটনার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশলগত দিক থেকেও কিছু ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কারণ, সিনেটে তাঁর প্রস্তাব পাস করতে হলে তিনজন রিপাবলিকান সিনেটরের সমর্থন প্রয়োজন।
র্যান্ড পল এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি বিল থেকে জাতীয় ঋণের বিষয়টি বাদ দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি বিলটির বিরোধিতা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন