ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর জীবনে ঘটে যাওয়া এক অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা জানা গেছে। মিশেল হ্যাডলি নামের এই নারীকে, তার প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রীর সাজানো মিথ্যা অভিযোগে, প্রায় তিন মাস কারাবন্দী থাকতে হয়েছিল।
ঘটনাটি এতটাই পরিকল্পিত ছিল যে, শুনলে গা শিউরে ওঠে।
২০১৬ সালে, অন্টারিও, ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা মিশেল হ্যাডলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি তার প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে, “ধর্ষণের ফ্যান্টাসি” বিষয়ক বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন ক্রেইগলিস্ট নামক ওয়েবসাইটে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে, হ্যাডলিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে ছিল—শত্রুতা, হত্যার হুমকি এবং ধর্ষণচেষ্টা।
আদালতে যখন হ্যাডলির বিচার চলছিল, তখন আসল ঘটনা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে শুরু করে।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ক্রেইগলিস্টে পোস্ট করা বার্তাগুলো আসলে হ্যাডলির প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা ডিয়াজের বাড়ি থেকেই পাঠানো হয়েছিল।
অ্যাঞ্জেলা, হ্যাডলিকে ফাঁসানোর জন্য এক ভয়ঙ্কর চক্রান্তের জাল বুনেছিলেন।
তিনি নিজেকে গর্ভবতী প্রমাণ করতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন এবং এমনভাবে সবকিছু সাজিয়েছিলেন যেন হ্যাডলিই এর পেছনে দায়ী। অ্যাঞ্জেলা এমনকি, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ভানও করেছিলেন।
এই ঘটনার জেরে ২০১৭ সালে অ্যাঞ্জেলাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে, জানা যায় অ্যাঞ্জেলার স্বামী এবং হ্যাডলির প্রাক্তন প্রেমিক ইয়ান ডিয়াজও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
এই ঘটনার শিকার হওয়া মিশেল হ্যাডলি, দীর্ঘদিন ধরে এই মিথ্যা অভিযোগের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি।
ঘটনাটি নিয়ে ‘টক্সিক’ (TOXIC) নামের একটি নতুন তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে, যা ইনভেস্টিগেশন ডিসকভারি (ID)-তে প্রচারিত হচ্ছে।
এই তথ্যচিত্রে, মিশেল হ্যাডলির সঙ্গে এই মামলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল