এ কেমন প্রেম! বিরল শামুকের জন্য দেশজুড়ে তোলপাড়!

নিউজিল্যান্ডের একটি ছোট্ট শহর থেকে ভালোবাসার সন্ধানে এক বিরল শামুক! নাম তার নেড। সাধারণ শামুকের শরীর ডান দিকে প্যাঁচানো থাকে, কিন্তু নেডের খোলস বাঁ দিকে ঘোরানো। এমনটা ঘটে চল্লিশ হাজারে একজনের মধ্যে।

এর ফলে, নেডের প্রজনন অঙ্গ অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ায়, তার সঙ্গী খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওয়েলিংটনের কাছে ওয়াইরারাপাতে নিজের বাগানে মাটি খুঁড়তে গিয়ে লেখক এবং চিত্রকর জিজেল ক্লার্কসন প্রথম নেডকে খুঁজে পান। ক্লার্কসন একজন ‘অবজার্ভোলজিস্ট’, অর্থাৎ প্রকৃতির খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণে যিনি অভ্যস্ত।

সিএনএনকে তিনি জানান, “আমি যখন একটি গাছ তুলছিলাম, তখন একটি শামুক গড়িয়ে পড়ল। প্রথমে এটিকে সরিয়ে ফেলতে গিয়েই আমার চোখ আটকে যায়।”

শামুকটির এই বিশেষত্ব জানার পরেই, ক্লার্কসন এর নামকরণ করেন ‘নেড’। বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র ‘হোমার সিম্পসন’-এর বাঁ-হাতি প্রতিবেশী ‘নেড ফ্ল্যান্ডার্স’-এর নামানুসারে এই নামকরণ।

ক্লার্কসন এখন নেডকে নিজের বাড়িতে একটি অ্যাকুরিয়ামে রেখেছেন, যাতে পাখি বা অন্য কোনো শিকারির হাত থেকে তাকে বাঁচানো যায়। নেডের প্রেম খুঁজে দেওয়ার জন্য ক্লার্কসন এখন দেশজুড়ে ‘অবজার্ভোলজি’ বা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

তিনি তরুণ-বৃদ্ধ সকলকেই উৎসাহিত করছেন প্রকৃতির দিকে মনোযোগ দিতে, যা তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে।

ক্লার্কসনের মতে, প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা নেডকে তার কাঙ্ক্ষিত সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে। তিনি আরও বলেন, “শারীরিকভাবে তারা হয়তো মিলিত হতে পারবে, তবে তাদের মধ্যে ভালোবাসার জন্ম হওয়াটাও জরুরি।

তাদের ব্যক্তিত্বও তো মিলতে হবে।”

নেডের ভালোবাসার সন্ধানে এখন নিউজিল্যান্ডের সাধারণ মানুষজনও সামিল হয়েছেন। তারা তাদের আশেপাশে থাকা শামুকদের পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নেডের জন্য সম্ভাব্য সঙ্গীর সন্ধান করছেন।

এটি যেন এক বিরল প্রজাতির শামুকের প্রেম খুঁজে দেওয়ার এক অভিনব প্রচেষ্টা, যা প্রকৃতি এবং বিজ্ঞানকে ভালোবাসার এক দারুণ উদাহরণ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *