ইংল্যান্ড দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? রাশফোর্ড নাকি অন্য কেউ!

নতুন কোচিং স্টাইলে ইংল্যান্ড দলের জন্য রাশফোর্ডের গুরুত্ব, পালমার ও সাকার চেয়েও বেশি?

ফুটবল বিশ্বে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, প্রায়ই একটি সাধারণ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়: দলগুলো বাছাইপর্বে ভালো খেললেও, চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় কেন প্রত্যাশিত ফল করতে পারে না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে, কৌশলগত দুর্বলতা এবং খেলোয়াড় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সম্প্রতি, ইংল্যান্ডের নতুন কোচ থমাস টুখেলের অধীনে দলটিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ইংল্যান্ড দল প্রায়শই দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তার করে, কিন্তু শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে তাদের কৌশলগত দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

উদাহরণস্বরূপ, আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে জয়টি ছিল প্রত্যাশিত, তবে এটি বিশ্বকাপের দৌড়ে তাদের সাফল্যের মাপকাঠি হতে পারে না। টুখেল এখন এমন একটি দল তৈরি করতে চাইছেন, যারা দুর্বল এবং শক্তিশালী উভয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে।

হ্যারি কেইন একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, যিনি গভীর থেকে খেলার গতি পরিবর্তন করতে পারেন। তবে তার এই গভীর থেকে খেলার সুযোগ তৈরি করতে প্রয়োজন এমন খেলোয়াড়ের, যিনি তার আশেপাশে দৌড়াতে পারেন।

রাশফোর্ড সম্ভবত সেই কাজটি করতে পারেন। তার সরাসরি দৌড়ের ক্ষমতা কেইনের জন্য ফাঁকা স্থান তৈরি করে এবং প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করতে পারে।

যদিও কৌশলগত দিক থেকে বিবেচনা করলে, রাশফোর্ডের চেয়ে কোল পালমার বা সাকার মতো খেলোয়াড়দের দক্ষতা বেশি থাকতে পারে, তবে দলের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে রাশফোর্ড বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন।

আগের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের দুর্বলতার একটি প্রধান কারণ ছিল, কেইনের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সমন্বয়ের অভাব।

কেইন গভীর থেকে খেললে, তার আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়দের সেই স্থান পূরণ করতে ব্যর্থ হতে দেখা গেছে। রাশফোর্ডের দৌড়ের ক্ষমতা সেই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।

টুখেলের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপের জন্য একটি শক্তিশালী দল তৈরি করা, যারা প্রতিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারবে।

খেলোয়াড় নির্বাচন এবং তাদের সঠিক পজিশনে খেলানো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, মিডফিল্ডে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, যিনি খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভাঙতে দক্ষ, দলের জন্য অপরিহার্য।

তবে, বাছাইপর্বে ভালো ফল করা মানেই বিশ্বকাপে ভালো করা নয়।

ফ্যাবিও ক্যাপেলোর অধীনে ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড ভালো খেললেও, চূড়ান্ত পর্বে তাদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তাই, টুখেলকে এখন এমন একটি দল তৈরি করতে হবে, যারা শুধু বাছাইপর্বে নয়, বরং বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও নিজেদের প্রমাণ করতে পারে।

নতুন কোচিং স্টাইলে, রাশফোর্ডের মতো খেলোয়াড়দের গুরুত্ব তাই অনেক বেশি। তাদের দক্ষতা এবং খেলার ধরন, ইংল্যান্ড দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *