যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে একটি জরুরি খবর আপনার জন্য। আগামী ৭ই মে থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক বিমানে উঠতে হলে একটি বিশেষ ধরনের পরিচয়পত্র (ID) থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এই পরিচয়পত্রটি ‘রিয়েল আইডি’ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানাচ্ছে, এই ‘রিয়েল আইডি’ হল একটি স্ট্যান্ডার্ড আইডি, যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত।
২০০৫ সালে নাইন ইলেভেন কমিশন এর সুপারিশের ভিত্তিতে এই আইন তৈরি করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, নিরাপত্তা জোরদার করা এবং আইডি-র মান উন্নয়ন করা।
তবে, এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্য – মিশিগান, মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক, ভার্মন্ট এবং ওয়াশিংটন – এর বাসিন্দাদের জন্য ‘রিয়েল আইডি’-র বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই রাজ্যগুলোর নাগরিকেরা স্ট্যান্ডার্ড ড্রাইভার্স লাইসেন্স অথবা ‘এনহ্যান্সড ড্রাইভার্স লাইসেন্স’ (EDL) অথবা ‘এনহ্যান্সড আইডি’ (EID) ব্যবহার করতে পারবেন। এই আইডিগুলো কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আকাশ ও সমুদ্র পথে ভ্রমণের সময়ও পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
রিয়েল আইডি-র জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যেমন – জন্মসনদ, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর এবং ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে দুটি ডকুমেন্টস।
রিয়েল আইডি কার্ডের উপরের কোনায় একটি তারকা চিহ্ন থাকে। কোনো কোনো রাজ্যে এই তারকা সোনালী রঙের, আবার কোনোটিতে কালো। এই তারকা একটি বৃত্তের ভিতরেও থাকতে পারে।
যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার রিয়েল আইডিতে সোনার ভালুকের ভিতরে তারকা দেখা যায়। অন্যদিকে, ইডিএল এবং ইআইডি কার্ডের উপরে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবি এবং ‘এনহ্যান্সড’ শব্দটি লেখা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনুমোদিত অন্যান্য আইডি-র মধ্যে রয়েছে – যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট, স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড, এবং কিছু উপজাতি সম্প্রদায়ের আইডি কার্ড। এছাড়াও, ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য রিয়েল আইডি-র প্রয়োজন নেই।
সুতরাং, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এই তথ্যগুলো জানা খুবই জরুরি। ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় আইডি-র বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন, যাতে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল